রাজধানীর আগারগাঁও ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বাসায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারসহ ১০ জন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ও ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
রাজধানীর আগারগাঁয়ের একটি বাসায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে এক পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন শিশুও রয়েছে। শনিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে দগ্ধদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে আনা হয়েছে।
দগ্ধরা হলেন- মাছ ব্যবসায়ী মো. জলিল মিয়া (৫০), তার স্ত্রী আনেজা বেগম (৪০), দুই ছেলে আসিফ মিয়া (১৯), সাকিব মিয়া (১৬) ও মেয়ে মনিরা (১৭) ও নাতনি ইভা (৬)।
হাসপাতালে নিয়ে আসা দগ্ধ জলিল মিয়ার মেয়ের জামাই মো. আফরান মিয়া বলেন, শনিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে গ্যাসের লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে সকালে হাসপাতালে আনা হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দগ্ধরা বর্তমানে ঢামেকের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা শেরপুরের নালিতাবাড়ী থানার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
এদিকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের একটি বাসায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের অন্তত ৪ জন দগ্ধ হয়েছেন। শনিবার সকালে দগ্ধদের ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
দগ্ধরা হলেন- সাকিব, ইভা, আসিফ, আনেজা বেগম, মনিরা। এদের মধ্যে আগুনে সাকিবের শরীরের ৭ শতাংশ ইভার ২ শতাংশ, আসিফের ৫ শতাংশ, আনেজা বেগমের ১০ শতাংশ, অন্তঃসত্ত্বা মনিরার ৮ শতাংশ পুড়ে গেছে।