Image description

সরকারী নীতি ও সংস্কার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভ্রান্তিতে আছি বলে মন্তব্য করেছেন আবরার ফাহাদের ভাই আবরার ফাইয়াজ।শনিবার (৬ ডিসেম্বর) যমুনা টেলিভিশনের টকশো নিয়ে বিতর্কে প্রতিক্রিয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন তিনি।

ফাইয়াজ বলেন, বেশ অনেকদিন ধরে কনফিউশনে আছি, এই সরকারের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা মিডিয়া সংষ্কার করতে না পারা নাকি পুলিশ সংষ্কারে সফল না হওয়া নিয়ে। 

তিনি লিখেছেন, ‘গতকাল যমুনা টেলিভিশনের কল্যাণে মিডিয়া কিছুটা এগিয়েছে। সম্ভবত জুলাইয়ের শেষদিকে নিজেদের টিআরপি বাড়াতে মিডিয়া কিছু ব্যক্তিকে কৃত্রিমভাবে তুলে ধরেছিল, তাদের মধ্যে একজন নিজেকে বিরাট মুজিবপ্রেমিকা হিসেবে প্রকাশ করেছে।’

তিনি দাবি করেছেন, শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেওয়া হয়েছিল এবং জনগণ তা গ্রহণ করেছিল। তবে, মুজিব থেকে শুরু করে পুরো শেখ পরিবার যে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তা মীর জাফরের সঙ্গে তুলনীয়। মীর জাফর সিরাজের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে দেশ ইংরেজদের কাছে বিক্রি করেছিল, আর শেখ পরিবার বাংলাদেশের জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে ভারতের হাতে দেশ হস্তান্তর করেছে।

ফাইয়াজ প্রশ্ন তোলেন, ইভেন হাসিনা পালানোর পরও গোপালগঞ্জে কিছু মিছিল মিটিং হয়েছে, কিন্তু মুজিব মারা যাওয়ার পরে কেন জানাযার মানুষ পাওয়া গেলো না সেই প্রশ্ন নিজেকে করলেই তো অনেক উত্তর পাওয়া যায়। তাইলে শেখ মুজিবকে বিশ্বাসঘাতক বলায় কেন আপত্তি? আর আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর মনে রাখা উচিত, মুক্তিযুদ্ধের আওয়ামী বয়ানের কবর ৫ই আগস্টেই হয়ে গেছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের জন্য যতই চেষ্টা করেন আবার সেই বয়ানকে তুলে আনতে, লাভ নাই। 

তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি সতর্ক করে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের আওয়ামী বয়ান ৫ আগস্টেই কবর দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ক্ষেপাতে যতই চেষ্টা করা হোক, সেই বয়ান পুনরায় তুলে আনার কোনো লাভ নেই। মুক্তিযুদ্ধকে দুর্ঘটনা হিসেবে দেখানোর যে প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে, তা মোকাবেলায় প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরা ছাড়া লাভ হবে না। উল্টো ভোট এক্সপোনেনশিয়ালি কমতে থাকবে।’

ফাইয়াজ আরও উল্লেখ করেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকে দুর্ঘটনা হিসাবে দেখানোর যে চেষ্টা একপক্ষ শুরু করেছে, তা মোকাবেলায় প্রকৃত ইতিহাস নিয়ে কথা বলা ছাড়া সুবিধা করতে পারবেন না। উল্টো আপনাদের ভোট এক্সপোনেনশিয়ালি কমতে থাকবে। স্বাধীনতার ৫৪বছর পরও সেই একই চেতনাভিত্তিক রাজনীতি দেখতে দেখতে জনগণ বিরক্ত। এই জাতির উন্নয়নের কোনো সম্ভাবনা নাই, যতদিন না ৪৭, ৭১, ২৪এর সঠিক ইতিহাস লিপিবদ্ধ করে আমরা ভবিষ্যত জাতি ও দেশ গঠনের পলিসি কেন্দ্রীক আলোচনা শুরু করছি।’

স্ট্যাটাসের শেষে তিনি লেখেন, ‘আচ্ছা, পৃথিবীর আর কোন কোন দেশে আমাদের মতো চেতনাভিত্তিক রাজনীতি হচ্ছে স্বাধীনতা লাভের এতদিন পরেও?’