Image description
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিয়ে যেতে আসছে ‘চ্যালেঞ্জার ৬০৪’ নামের একটি উড়োজাহাজ। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে লং রেঞ্জের জেট বিমানটি বাংলাদেশে অবতরণ করবে।
সূত্র জানায়, জার্মানির চার্টার্ড বিমান সংস্থা এফএআইয়ের অধীনে থাকা উড়োজাহাজটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কানাডার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোম্বার্ডিয়ার এই উড়োজাহাজ নির্মাণ করেছে। কাতার সরকারের ব্যবস্থাপনায় জার্মানি থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকায় আসবে। চ্যালেঞ্জার ৬০৪ একটি ওয়াইড-বডি করপোরেট জেট, যা মাঝারি থেকে দীর্ঘ পাল্লার ক্ষমতার জন্য পরিচিত। চার্টার্ড ফ্লাইটের জন্য কনফিগার করা হলে এটি আরামদায়কভাবে ১২ যাত্রী বহন করতে পারে।
ঢাকায় কাতার দূতাবাস সূত্র জানায়, কাতার সরকার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ভাড়া করে দিচ্ছে। সেটি জার্মানি থেকে শনিবার বিকেলে ঢাকায় আসতে পারে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লন্ডনে যাবেন কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে। কিন্তু ‘কারিগরি জটিলতায়’ তা সম্ভব না হওয়ায় এই বিকল্প ব্যবস্থা করেছে কাতার সরকার।
কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যে শুক্রবার আসছে না, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও তা সকালে জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ‘কারিগরি ত্রুটির কারণে’ এই জটিলতা তৈরি হয়েছে। সব ঠিক থাকলে সেটি শনিবার পৌঁছাতে পারে। ম্যাডামের শরীর যদি যাত্রার উপযুক্ত থাকে এবং মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত দেয়, তাহলে রোববার (৭ ডিসেম্বর) ফ্লাই করবেন।
অবশ্য খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ড বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) তাঁকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি ঘটে। যাত্রা পিছিয়ে যাওয়ার এটাও একটি কারণ বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।
প্রায় ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন হৃদরোগ ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। গত ২৩ নভেম্বর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকরা হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছে জানান। সেই থেকে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ঘিরে এভারকেয়ার হাসপাতাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এর মধ্যে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এএসএফ), প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর), পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিয়োজিত করা হয়েছে। কাঁটাতারের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে হাসপাতালের প্রধান ফটক।
কাতারের আামির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করেই চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সেখানে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি রেখে কিছুদিন তার চিকিৎসা চলে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে কিছুদিন লন্ডনে তারেকের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন। অনেকটা সুস্থ হয়ে গত ৬ মে একই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তিনি দেশে ফেরেন।