Image description

নতুন সরকারি বেতন কাঠামো প্রণয়নের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে সভা করেছে জাতীয় বেতন কমিশন। এতে সচিবদের মতামত গ্রহণ করেছে কমিশন। শিগগিরই রিপোর্টও জমা দেবে। তবে এরইমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে পে স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় তা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে সরকারি কর্মচারী নেতারা।

আশা দেখিয়েও পে স্কেল কেন দেবেন না, এমন প্রশ্ন করেছেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের যগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র আবদুল মালেক। তিনি দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘১৫ শতাংশ ভাতা যখন দিলেন, তাহলে ওই সময় কেন কমিশন গঠন করা হলো। তাড়াহুড়ো করে আশা দেখিয়ে এখন কেন আমাদেরকে আরেক সরকারের কাছে ছেড়ে দিচ্ছেন?’

তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে আশা দেখিয়ে, যখন কমিশন হয় বা পে স্কেল দেয়, তখন বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রচার হয়, এটা হয়ে যাচ্ছে। ওটা হয়ে যাচ্ছে।এর ওপর ভিত্তি করে দ্রব্যমূল্য, মূল্যস্ফীতি বাড়ে কমে। এটা না হলে এতটা আশাও আমাদের জাগত না, এতকিছু করাও লাগতো না।’

আবদুল মালেক আরও বলেন, ‘এখন আমাদের স্বপ্ন দেখিয়ে তা ভঙ্গ হওয়ার পথে। বিশেষ করে আমি দেখিয়েছি যে, একজন যদি ডাল দিয়েও ভাত খায়, ৫০ টাকার নিচে কি বর্তমানে খাওয়া যায়? ২৭ হাজার টাকা শুধু ডাল-ভাত খেতেই লাগে। সেখানে এখকজন কর্মচারী বেতন পায় ১৫ হাজার টাকা।’

সচিবদের সঙ্গে সভা শেষে সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে আলাপ হয় জাতীয় বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান। বিষয়টি নিয়ে সচিবদের সঙ্গে ফের বৈঠক করার কথাও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর ভাষ্য, ‘আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। সব সচিব সভায় আসেননি। পরবর্তীতে সচিবদের নিয়ে আবারও আলোচনা করা হবে। আলোচনা শেষে দ্রুত রিপোর্ট জমা দিতে পারব বলে আশাবাদী।’

এর আগে বিকেল ৩টায় কমিশনের সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের নিয়ে সভা শুরু করে জাতীয় বেতন কমিশন। তবে সব মন্ত্রণালয়ের সচিবরা সভায় উপস্থিত ছিলেন না। দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা ওই বৈঠক শেষ হয় বিকাল ৫টায়। বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ব্রিফ বা বক্তব্য দেয়নি কমিশন। 

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, নতুন সরকারি বেতন কাঠামো প্রণয়নের জন্য নানা ইস্যুতে সচিবদের মতামত গ্রহণ করেছে কমিশন। তারাও নানা বিষয়ে কথা বলেছেন, মতামত দিয়েছেন। কমিশন তাদের বক্তব্যগুলো গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে এবং তা পরবর্তীতে সুপারিশসমূহে প্রয়োজনের আলোকে সংযুক্ত করবে।

সূত্রটি জানায়, সচিবদের সঙ্গে বৈঠকটি মূলত কমিশনের শেষ ধাপের বৈঠক। কারণ, তাদের মতামতই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় করে তাদের কাছ থেকে বেতন কাঠামোর প্রস্তাব নেওয়া হয়েছিল। 

এসব প্রস্তাব ইতোমধ্যে খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এখন সেই বিশ্লেষণের ভিত্তিতে নতুন পে-স্কেল কী রূপ নিতে পারে এবং কবে থেকে তা কার্যকর করা সম্ভব—এসব বিষয়ে সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।