কক্সবাজারের পাশের পার্বত্য উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নে পথ হারিয়ে আশ্রয়ের জন্য স্থানীয় গ্রামবাসীর কাছে গিয়ে হাজির হয়েছেন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি'র চার সদস্য ও দেশটির সেনাবাহিনীর এক সদস্য।
রোববার (২৩ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার গাছবুনিয়া পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ৩৪ বিজিবির মংজয়পাড়া চৌকির (বিওপি) টহল দল এগিয়ে গিয়ে পাঁচজনকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
বিজিবি সূত্রমতে, সীমান্ত পিলার ৪২ থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে তারা গ্রামবাসীর কাছে আশ্রয় চান।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিজিবিকে জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সশস্ত্র সংঘর্ষের কারণে ক্যাম্প ছেড়ে পালিয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন তারা।
আটককৃত মায়ানমার সেনারা হলেন বিজিপির শান প্রদেশের সেকেন্ড ইন্সপেক্টর কে কো সেইন (৩৫) (রেজি নং–২৫৩৬৫৫), আয়ারওয়ার্ডি প্রদেশের বলিবাজার বিজিপি ক্যাম্পের কনস্টেবল সো থু রা (৩৮) (রেজি নং–২৩৬৪৪৭), একই ক্যাম্পের কনস্টেবল আং সান থু (২৫) (রেজি নং–২৯৮৯৯৩), কনস্টেবল ক্যাও যায়ার লিন (৩২) (রেজি নং–২৪৯৫৭৮) ও ইয়াঙ্গুন প্রদেশের মায়ানমার সেনাবাহিনীর সৈনিক মিন মিন উ (৪১) (রেজি নং–৩৭৩৮৮২)।
এ বিষয়ে বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম সাংবাদিকদের জানান, আটক ব্যক্তিরা বাংলাদেশের ভেতরে অনুপ্রবেশ করেছে।
তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করবে।
এদিকে গাছবুনিয়া পাড়ার এক বাসিন্দা বলেন, দুপুরের দিকে পাঁচজনকে আমাদের পাড়ায় হাঁটাহাঁটি করতে দেখি। তারা ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতে জানায় যে- তারা আশ্রয় চায়। পরে আমরা বিষয়টি বিজিবিকে জানাই।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাশরররুল হক বলেন, আমরা ঘটনাটি সম্পর্কে জেনেছি। তবে এখন পর্যন্ত বিজিবি আমাদের কাছে কোনো লিখিত প্রতিবেদন দেয়নি। লিখিতভাবে জানানো হলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিজিবি বলেছে, পাঁচজনের পরিচয় ও উদ্দেশ্য যাচাই–বাছাই চলছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে।