ঐকমত্য কমিশনের খরচ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মনগড়া তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা শনাক্ত করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) ফ্যাক্ট চেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম বাংলাফ্যাক্ট।
বাংলাফ্যাক্ট জানায়, সম্প্রতি ঐকমত্য কমিশনে ৮৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে একটি টকশোতে তথ্যপ্রমাণহীন মন্তব্য করেছেন মোশাররফ আহমেদ ঠাকুর।
এই মন্তব্যকে আরও বিকৃত করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পেইজ থেকে ‘৮৩ কোটি টাকা খাবারের বিল হয়েছে’ বলে প্রচার করা হয়েছে। অথচ সরকারি ভাষ্যমতে, কমিশনের মোট বাজেটই ছিল ৭ কোটি টাকা, যার মধ্যে মাত্র ২৩% ব্যবহৃত হয়েছে এবং বাকিটা ফেরত দেয়া হয়েছে।
বাংলাফ্যাক্ট অনুসন্ধান টিম জানায়, ঐকমত্য কমিশনের খরচ নিয়ে মনগড়া তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে।
গত বছর থেকে ভারতীয় গণমাধ্যম এবং ভারত থেকে পরিচালিত বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, পাশাপাশি দেশেও বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশকে জড়িয়ে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, চব্বিশের আন্দোলনে অংশ নেয়া দল ও সংগঠনের বিরুদ্ধে গুজব, ভুয়া তথ্য প্রচারের হার বৃদ্ধি পেয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠানগুলো।
ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া শত শত ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে বাংলাদেশের ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান বাংলাফ্যাক্ট। বাংলাদেশে চলমান গুজব এবং ভুয়া খবর, অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করছে বাংলাফ্যাক্ট।