Image description

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজীজি জানিয়েছেন, মন্ত্রণালয় থেকে ফোন পেয়ে তিনি আন্দোলনরত শিক্ষকদের পক্ষ থেকে আর্থিক সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছেন। বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি জানান, মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা তাকে ফোন করে উৎসব ভাতা ও বাড়ি ভাতা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবে কর্মচারীদের উৎসব ভাতা নিশ্চিত করতে না পারার বিষয়েও তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। আজিজী বলেন, ‘বাড়ি ভাতা নিয়ে কথা হয়েছে। তিনি (অধ্যক্ষ) বারবার আমাকে বলেছেন, আপনি শিক্ষকদের বুঝান।’

তিনি আরও জানান, ‘আমি তাকে প্রস্তাব দিয়েছি, যেহেতু সরকারের আর্থিক সংকট রয়েছে, তাই আপাতত চলতি বাজেটে ১০ শতাংশ এবং বাকি ১০ শতাংশ আগামী বাজেটে দেওয়া যেতে পারে। তবে বিষয়টি অবশ্যই প্রজ্ঞাপনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে যে, মোট ২০ শতাংশ দেওয়া হবে।’

অধ্যক্ষ আজিজী সতর্ক করে বলেন, ‘এর বাইরে গেলে আমার পক্ষে শিক্ষকদের বোঝানো সম্ভব হবে না। তখন হয়তো পরিস্থিতি পদত্যাগ আন্দোলনের দিকে যেতে পারে।’

এর আগে বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ২টার কিছু আগে শাহবাগে জাতীয় গ্রন্থাগারের আগেই ব্যারিকেড দিয়ে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় ব্যারিকেডের সামনেই অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষকরা। পরে শিক্ষকরা ব্যারিকেড ভেঙ্গে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন।

এদিন সকাল থেকে সরেজমিনে দেখা যায়, শহীদ মিনারে সকাল থেকেই জড়ো হতে শুরু করেছেন শিক্ষকরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহীদ মিনারে শিক্ষকদের উপস্থিতি বাড়তে থাকেন। দাবি আদায়ে তাদেরকে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে। ব্যানার, ফেস্টুনের মাধ্যমে তারা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করছেন। ‘বেতন বৈষম্য দূর করো’, ‘শিক্ষকের মর্যাদা রক্ষা করো’ এমন নানা স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠেছে শহীদ মিনার এলাকা। কানায় কানায় পূর্ন হয়ে গেছে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ। অনেকে আশেপাশের সড়কগুলোর গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে জানান শিক্ষক নেতারা।

এ সময় এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজীজি বলেন, ব্লকেড কর্মসূচি ১২টায় হওয়ার কথা ছিল কিন্তু জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফোরামের নেতারা শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে শহীদ মিনারে আসবেন। সেজন্য শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচি পেছানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০ শতাংশ মানে ২০ শতাংশ, মেডিক্যাল ভাতা ১৫০০ টাকা মানে ১৪৯৯ টাকার নয় ও উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ মানে ৭৪ শতাংশ নয়। এ তিন দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়া যাবে না। তিন দফা দাবি থেকে আমরা একচুলও নড়ব না।