Image description

আগামী জাতীয় নির্বাচনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহার ঠেকাতে কানাডার সহায়তা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং আজ মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এই সাক্ষাৎকালে সিইসি এ বিষয়ে সহযোগিতা চান। বৈঠক শেষে সিইসি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, যেসব বিদেশি পর্যবেক্ষক গত তিনটি নির্বাচনকে বিশ্বাসযোগ্য বলে ‘সার্টিফিকেট’ দিয়েছিল, তাদের আগামী নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অনুমোদন দেওয়া হবে না।

আজ সকালে হাইকমিশনার অজিত সিংসহ কানাডা হাইকমিশনের একটি প্রতিনিধিদল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সিইসি নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টার মতো বৈঠক শেষে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিনিধিদল বিভিন্ন ক্ষেত্রে নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল। ইসি তা জানিয়েছে। ইসি সারা দেশে বড় আকারে ভোটার সচেতনতা ও ভোটার এডুকেশন কার্যক্রম শুরু করবে। এ ছাড়া প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার ও স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এসব ক্ষেত্রে কানাডা ইসিকে সাহায্য করতে প্রস্তুত রয়েছে।

নাসির উদ্দিন বলেন, কানাডা চায়, এখানে যেন একটি অবাধ, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হয়। তারা নারী ভোটারের অন্তর্ভুক্তি ও পার্বত্য এলাকায় ভোটার সচেতনতা কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চেয়েছে।

আগামী নির্বাচনে এআইয়ের অপব্যবহারকে নির্বাচন কমিশন একটি বড় হুমকি হিসেবে দেখছে বলে উল্লেখ করেন সিইসি। নাসির উদ্দিন বলেন, এআইয়ের অপব্যবহার রোধে কী করা যায়, সে বিষয়ে তিনি কানাডার সহায়তা চেয়েছেন। কারণ, সম্প্রতি কানাডায় নির্বাচন হয়েছে। তাদের এই বিষয়টি মোকাবিলা করতে হয়েছে। এ বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতা আছে।

নির্বাচন কবে বা ভোটের সম্ভাব্য সময়সীমা বিষয়ে কানাডার হাইকমিশনার জানতে চেয়েছেন কি না, এমন প্রশ্ন করা হয় সিইসিকে। জবাবে তিনি বলেন, ‘উনি (কানাডার হাইকমিশনার) জানতে চেয়েছেন, ভোটের স্পেসিফিক ডেট হয়েছে কি না। আমি বলেছি ‘নো’। সময়সীমা নিয়ে কোনো আলাপ হয়নি। সময়সীমা সম্পর্কে আপনারা যা জানেন, আমিও তাই জানি। যেদিন ভোট হবে, তার দুই মাস আগে আমি জানিয়ে দেব।’

বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আসার বিষয়ে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ইতিমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অবজারভার হিসেবে কাজ করার জন্য জিজ্ঞাসা করেছেন তিনি। নীতিমালাও প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছেন। ইইউকে বলা হয়েছে, আগেই যেন জানিয়ে রাখা হয়। তাদের ২৮টি দেশের অবজারভারকে সমন্বয় করে পাঠাতে হবে। এ জন্য আগেভাগে স্বাগত জানিয়েছি।

নাসির উদ্দিন বলেন, ‘গত তিনটি নির্বাচনকে যারা সার্টিফিকেট দিয়েছে, তাদের (অনুমোদন) দেব কেন? যেসব পর্যবেক্ষক গত তিনটি নির্বাচন খুব সুন্দর নির্বাচন হয়েছে সার্টিফিকেট দিয়েছে, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে বলেছে, তাদের কি আমাদের নেওয়া উচিত? আমরা দেখেশুনেই নেব। যারা অভিজ্ঞ, ডিফেন্ডেবল, রিলায়েবল ও বিভিন্ন দেশে নির্বাচন অবজারভ করেছে, তাদের নেব। তিনটা নির্বাচনকে যারা সার্টিফিকেট দিয়েছে, তাদের কোনোমতেই নয়।’