Image description

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাম্প্রতিক নেতৃত্ব পরিবর্তন নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে গুঞ্জন চলছেই—বিশেষ করে আইসিসির সম্ভাব্য হস্তক্ষেপ ও নিষেধাজ্ঞা নিয়ে। তবে এসব শঙ্কা পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, সরকার কোনো বাড়তি হস্তক্ষেপ করেনি, বরং যা সরকারের এখতিয়ার, তার সীমার মধ্যেই কাজ করেছে।

 

 

শনিবার (৩১ মে) বিকেলে জাতীয় হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতার ফাইনালে প্রধান অতিথি হিসেবে এসেছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদেরআসিফ মাহমুদ বলেন, ‘যে কথাগুলো বলা হচ্ছে—সরকারের অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ, তা সত্য নয়। এখানে সরকারের হস্তক্ষেপের কিছু নেই। সরকারের যতটুকু এখতিয়ার আছে, সেই বিবেচনায় হস্তক্ষেপ করেছে। দুজন ডিরেক্টর দেওয়ার ক্ষমতা সরকারের আছে, সরকার সেখানে পরিবর্তন করেছে।

 

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘সরকার প্রেসিডেন্ট পরিবর্তন করেনি। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরিচালকরাই নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেছেন।’

 

 

 

আইসিসির সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আসিফ মাহমুদ জানান, ‘আমাদের আইসিসির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। যিনি এখন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, তিনি নিজেই দীর্ঘদিন আইসিসিতে কাজ করেছেন। ফলে কোনো ‘কমিউনিকেশন গ্যাপ’ আমাদের দিক থেকে নেই।’

 

 

 

তিনি আরও জানান, ‘আইসিসিও এই পরিবর্তনকে সাধুবাদ জানিয়েছে। আমরা তাদের প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা দিয়েছি, এবং তারা তাতে সন্তুষ্ট।’

 

 

 

বিসিবির নেতৃত্বে পরিবর্তন এসেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) পক্ষ থেকে ফারুক আহমেদের পরিচালক পদ বাতিলের মাধ্যমে। ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সভাপতির পদটি শূন্য হয়ে যায়। এরপর পরিচালকদের সভায় গঠনতন্ত্র অনুসারে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন আমিনুল ইসলাম।

 

 

তবে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি সাধারণত কোনো ক্রিকেট বোর্ডে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়, অতীতে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে এর উদাহরণ।

 

 

এই প্রেক্ষাপটেই আসিফ মাহমুদের বক্তব্য একটি সাফাই হিসেবেই দেখা হচ্ছে, যাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই পরিবর্তনকে গ্রহণযোগ্যভাবে তুলে ধরা যায়।

 

 

বিসিবির নেতৃত্বে পরিবর্তন হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত ও পরিচালকদের ভোটাভুটির মাধ্যমে—এটাই বারবার তুলে ধরছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। আর আইসিসির শাস্তির শঙ্কা? সরকার বলছে, সেটি ভিত্তিহীন। এখন দেখার বিষয়, ক্রিকেট বিশ্বের চোখে এই ব্যাখ্যা কতটা গ্রহণযোগ্য হয়। তবে আপাতত সরকার ও বিসিবি—দু’পক্ষই স্থির বার্তা দিচ্ছে: এখানে কোনো ‘অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ’ হয়নি।