ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি তকমা দিয়ে হেনস্তা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। মমতার প্রশ্ন, অনুপ্রবেশকারী কি শুধু পশ্চিমবঙ্গেই আছে? জম্মু-কাশ্মীরে নেই? না থাকলে পাহেলগামে হামলা করলো কারা?
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বাঁকুড়ার বড়জোয় তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় সভায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ভারতের বিভিন্ন রাজ্য যেমন রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ ও উড়িষ্যায় বর্তমানে কেউ বাংলায় কথা বললেই তাকে ‘বাংলাদেশি’ বলে তকমা দিয়ে হেনস্তা করা হচ্ছে। এই বৈষম্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন, অনুপ্রবেশকারী কি কেবল পশ্চিমবঙ্গেই আছে? তাঁর দাবি, জম্মু-কাশ্মীরের পাহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা কিংবা রাজধানী দিল্লিতে সাম্প্রতিক বিস্ফোরণের মতো ঘটনা যদি ঘটে থাকে, তবে তার দায় কার? পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া অন্য কোথাও যদি অনুপ্রবেশকারী না থাকে, তবে কি এসব ঘটনা বিজেপি নিজেই ঘটিয়েছে—এমনই এক বিস্ফোরক প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী দেশভাগের যন্ত্রণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ১৯৪৭ সালে পাঞ্জাব ও পশ্চিমবঙ্গের মানুষই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। অথচ আজ এতদিন পর কেন হঠাৎ করে নাগরিকত্ব বা অনুপ্রবেশের বিষয় নিয়ে এত তৎপরতা দেখানো হচ্ছে, তা নিয়ে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন। বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে তিনি বলেন, তারা ধর্মকে ভুল পথে পরিচালিত করে এবং মানুষের মধ্যে বিভাজন ও দাঙ্গা সৃষ্টি করাই তাদের মূল লক্ষ্য।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি পুনরায় ‘খেলা হবে’ স্লোগান তুলে ধরেন এবং ঘোষণা করেন যে, এবারের লড়াই হবে আরও জোরদার, যার নাম হবে ‘ফাটাফাটি’। বিজেপিকে পরাজিত করতে জনগণের জাগরণই একমাত্র পথ বলে তিনি মনে করেন।
‘বিজেপিকে থামানোর জন্য একটাই অস্ত্র- মানুষের জাগরণ। মানুষ যখন পথে নামবে, ওরা লেজ গুটিয়ে পালাবে। আর আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে’, যোগ করেন মমতা ব্যানার্জী।
শীর্ষনিউজ