Image description

ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে নিরস্ত্র করা মানে ফিলিস্তিনিদের প্রাণশক্তি কেড়ে নেওয়া বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির শীর্ষ নেতা খালেদ মিশাল।

হামাসকে নিরস্ত্র করার দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের নিরস্ত্র করা মানে তাদের প্রাণশক্তি কেড়ে নেওয়া। এ ধরনের দাবি ফিলিস্তিনি জনগণের কাছে অগ্রহণযোগ্য।

আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

ঐতিহাসিক গণহত্যার উদাহরণ টেনে খালেদ মিশাল বলেন, ফিলিস্তিনিদের অস্ত্র নয়, আসল সমস্যা হলো ইসরাইলের আগ্রাসন। ভয়াবহ এই যুদ্ধ ইতোমধ্যে অর্ধ লাখেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং পুরো গাজ্জাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। তাই এখন গাজ্জার প্রথম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠন।

সাক্ষাৎকারে তিনি গাজ্জায় স্থায়ী শান্তির জন্য সম্ভাব্য কয়েকটি ব্যবস্থার কথা তুলে ধরেন। তার ভাষায়, যদি ইসরাইলকে যুদ্ধ আবার শুরু করা থেকে বিরত রাখা যায়, তবে হামাস অস্ত্র নিজেদের কাছে রাখবে, তবে সেগুলো প্রকাশ্যে প্রদর্শন বা ব্যবহার করবে না।

খালেদ মিশাল বলেন, দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতিতে হামাসের কোনো আপত্তি নেই। গাজ্জার সীমান্তে আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী মোতায়েনের বিষয়েও তাদের আপত্তি নেই—যেমন লেবাননে জাতিসংঘের অস্থায়ী বাহিনী (ইউএনআইএফআইএল) মোতায়েন রয়েছে।

তিনি বলেন, তারা এমন নিশ্চয়তা চান যাতে ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর গাজ্জায় যুদ্ধ আর ফিরে না আসে। এ ক্ষেত্রে কাতার, মিসর ও তুরস্ক গ্যারান্টর দেশ হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

মিশালের এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে, যখন গাজ্জায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা স্থবির হয়ে পড়েছে। প্রথম ধাপে জিম্মি ও বন্দি বিনিময় হয়েছিল। ইসরাইল বলছে, আলোচনার পরবর্তী ধাপে যেতে হলে সব নিহত জিম্মির মরদেহ ফেরত দিতে হবে, যা হামাসের সঙ্গে বড় ধরনের মতপার্থক্যের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিকে, স্থগিত হয়ে থাকা এই প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এই মাসে বৈঠকে বসবেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

সূত্র: ইয়ানি সাফাক