বর্বর ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবারও চালু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম। গত শনিবার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব গাজা সরাসরি ক্লাস শুরু করে। এতে ক্লাসে ফিরতে শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরাও। আল জাজিরা।
গাজায় এখন যুদ্ধবিরতি চলছে। দু–এক জায়গায় ইসরায়েলের হামলা চললেও অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে আগের মতো নির্বিচার হামলা ও ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ এখন নেই।
বছর দুয়েক আগে বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাসে হামলা চালায় ইসরায়েল । বন্ধ করে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ–সংযোগ। আর ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার মুখে বাস্তুচ্যুত হন শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের অনেকেই। এসব কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি সরাসরি ক্লাস নেওয়া বন্ধ করতে বাধ্য হয়। তবে স্বল্পপরিসরে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।
এখন ইসরায়েলি বিমান হামলায় ধ্বংস হওয়া ভবনের ধ্বংসস্তূপ আংশিক সরিয়ে ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব গাজার প্রেসিডেন্ট আসাদ ইউসেফ আসাদ আল–জাজিরাকে বলেন, ‘আজ ঐতিহাসিক একটি দিন। গণহত্যার ট্র্যাজেডি ও নৃশংসতাকে পেছনে ফেলে আমরা আবারও সরাসরি পাঠদানে ফিরেছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রেসিডেন্ট জানান, শনিবার ওষুধ ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান অনুষদের বড়সংখ্যক শিক্ষার্থী ক্লাসে ফিরেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টির যেসব ভবন এখনো টিকে আছে, সেগুলোতে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের খোলা জায়গায় হাজারো বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা করে দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।
গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর জানিয়েছে, ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় গত দুই বছরে উপত্যকাজুড়ে প্রায় ১৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। আরও ৩৯২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।