ইউরোপের বাইরে থাকা ১৯টি দেশের নাগরিকদের সব অভিবাসন আবেদন স্থগিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর মধ্যে রয়েছে গ্রিন কার্ড এবং ন্যাশনালাইজেশন (নাগরিকত্ব) প্রক্রিয়া। জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তার উদ্বেগকে সামনে রেখে প্রশাসন এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের আওতায় থাকা দেশগুলোতে ইতোমধ্যেই জুনে আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়েছিল। নতুন নীতিতে আরও কঠোরতা আনা হয়েছে।
তালিকাভুক্ত দেশগুলো হলো আফগানিস্তান, সোমালিয়া, মিয়ানমার, চাড, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, এরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সুদান, ইয়েমেন এবং বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা।
নীতিতে বলা হয়েছে, স্থগিত থাকা আবেদনগুলোর পুনঃপর্যালোচনা বাধ্যতামূলক হবে। প্রয়োজনে আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকার বা পুনরায় সাক্ষাৎকার দিতে হতে পারে।
নতুন নীতির ব্যাখ্যা দেওয়া সরকারি স্মারকে আফগান নাগরিকের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনে মার্কিন ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের ওপর হামলার অভিযোগকে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে একজন নিহত এবং অপরজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এছাড়া, সম্প্রতি সোমালিয়ার নাগরিকদের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসন কড়া ভাষা ব্যবহার করেছে।
আমেরিকান ইমিগ্রেশন লইয়ারস অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, তালিকাভুক্ত দেশের নাগরিকদের ন্যাশনালাইজেশন অনুষ্ঠান, সাক্ষাৎকার এবং স্ট্যাটাস পরিবর্তনের সাক্ষাৎকার বাতিল করা হয়েছে।
এ বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার পর ট্রাম্প অভিবাসন আইন প্রয়োগে আক্রমণাত্মক অবস্থান নিয়েছেন। তিনি ফেডারেল এজেন্ট পাঠিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় শহরে এবং যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার প্রশাসন এত দিন মূলত অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার অভিযানকে গুরুত্ব দিলেও এবার তারা বৈধ অভিবাসন কাঠামোতেও পরিবর্তনের দিকে ঝুঁকছে।
জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে বৈধ অভিবাসন সীমিত করতেই ট্রাম্প প্রশাসন জোর দিচ্ছে এবং এর জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নীতিকে দায়ী করা হচ্ছে।
সূত্র: রয়টাস