চীনা নেতা শি চিনপিং ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা ও তাইওয়ান ইস্যু নিয়ে সোমবার টেলিফোনে কথা বলেছেন বলে বেইজিংয়ের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে।
সিনহুয়ার তথ্য অনুসারে, শি ট্রাম্পকে বলেন, দুই দেশকে ‘দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গতি ধরে রাখতে’ হবে।
গত মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় দুই নেতার বৈঠকের পর এ আলোচনা হলো। গত মাসে তারা উত্তপ্ত বাণিজ্যযুদ্ধ প্রশমিত করতে চেষ্টা করেছিলেন।
সিনহুয়া জানায়, শি আরো ‘জোর দিয়ে বলেন যে তাইওয়ানের চীনে প্রত্যাবর্তন যুদ্ধ-পরবর্তী আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’
চীন গণতান্ত্রিক তাইওয়ানকে তার ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে এবং স্বশাসিত এই দ্বীপকে নিয়ন্ত্রণে আনতে শক্তি প্রয়োগের হুমকি দিয়েছে।
ট্রাম্প ও শি ২০১৯ সালের পর প্রথমবারের মতো গত অক্টোবর মাসে সাক্ষাৎ করেন, যেখানে বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতি বাণিজ্যযুদ্ধে জড়িয়ে থাকা অবস্থায় তাদের আলোচনার দিকটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়।
দুর্লভ খনিজ থেকে সয়াবিন এবং বন্দর-ফি—সব কিছু নিয়েই ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের টানাপড়েন বহু মাস ধরে বাজারকে অস্থির করেছে এবং সরবরাহ শৃঙ্খলা বিপর্যস্ত করেছে।
সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার ট্রাম্পকে শি জানান, দক্ষিণ কোরিয়ার ওই ‘সফল’ বৈঠক ‘চীন-মার্কিন সম্পর্কের বিশাল জাহাজকে স্থির অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিতে দিকনির্দেশনা দিয়েছে এবং গতি সঞ্চার করেছে’।
শি আরো বলেন, বৈঠকের পর থেকে চীন-মার্কিন সম্পর্ক ‘স্থিতিশীল রয়েছে এবং ক্রমাগত উন্নতি করছে’, যেটি দুই দেশেই এবং আন্তর্জাতিক মহলেও ব্যাপকভাবে স্বাগত জানানো হয়েছে।
সূত্র : এএফপি