Image description
 

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত প্রিন্সেস রিমা বিনতে বান্দার বলেছেন, ওয়াশিংটন ও রিয়াদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বর্তমানে ইতিহাসের যেকোনো সময়ের চেয়ে দৃঢ়। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে প্রবেশের মূল দরজা হলো সৌদি আরব। 

মিয়ামিতে বুধবার (৫ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত আমেরিকা বিজনেস ফোরাম-এ বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রিন্সেস রিমা বলেন, সৌদি-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আজ ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। একসময় এই সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা খাতে, কিন্তু এখন এটি গড়ে উঠেছে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের ওপর—গড়ে উঠেছে পারস্পরিক সম্পর্ক ও ব্যবসার ভিত্তিতে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, সৌদি আরবের কূটনৈতিক ভূমিকা দিন দিন বিস্তৃত হচ্ছে, যা যুক্তরাষ্ট্রও স্বীকৃতি দিয়েছে। তিনি জানান, আমাদের অন্যতম প্রথম কাজ ছিল এই হোয়াইট হাউস ও ট্রাম্প-এর প্রশাসনকে রাশিয়া ও ইউক্রেন ইস্যুতে সহায়তা করা। 

 

সিরিয়া ও গাজায় সৌদি আরবের অবস্থানের কথা উল্লেখ করে প্রিন্সেস রিমা বলেন, রিয়াদ এখনো দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পক্ষে অবস্থান করছে এবং সুদানের যুদ্ধের অবসানের জন্য কাজ করছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়া কেউই তা করতে পারবে না। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে সম্পূর্ণ সঙ্গতিপূর্ণ অবস্থানে থাকতে গর্ববোধ করি।

যুক্তরাষ্ট্রকে ‘একটি আশীর্বাদ’ উল্লেখ করে প্রিন্সেস রিমা বলেন, আমি নিশ্চিত নই, অনেক আমেরিকান বুঝতে পারেন কি না, তাদের দেশের সৌন্দর্য ও সম্ভাবনা কত বিশাল। আমি চাই কখনো তারা যেন তা আমার চোখে দেখতে পান। এই দেশ একটি উপহার—এবং এর সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো মানবসম্পদ, যেভাবে আমরাও আমাদের জনগণকে দেখি।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে প্রিন্সেস রিমা বলেন, সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের ইকোসিস্টেমের একটি সম্প্রসারিত অংশ হতে চায়, আলাদা কোনো সত্তা নয়।

তিনি বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী ও সম্পদ হতে চাই, যেন তাদের ইকোসিস্টেম আরও বিকশিত হয়। কারণ কেউ একা সফল হতে পারে না—আমরা চাই যুক্তরাষ্ট্র সফল হোক, আর তাতে আমরা পাশে থাকব। 

 

তিনি আরও জানান, সৌদি আরবে বিনিয়োগকারীরা স্বল্পমূল্যে জমি, জ্বালানির সহজলভ্যতা ও পর্যাপ্ত মানবসম্পদ পাবেন।

মিয়ামির ক্রমবর্ধমান ব্যবসা ও বৈশ্বিক সম্পৃক্ততার ভূমিকা উল্লেখ করে প্রিন্সেস রিমা বলেন, লাতিন আমেরিকার প্রবেশদ্বার হিসেবে মিয়ামি এখন বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় কেন্দ্র। মধ্যপ্রাচ্য ও লাতিন অঞ্চলের সংস্কৃতি ও অর্থনীতির মধ্যে অনেক মিল রয়েছে।

তিনি বলেন, এই প্রবেশদ্বার হিসেবেই মিয়ামি এখন সৌদি আরবের জন্য একটি সম্ভাবনাময় ও আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। অতীতে আমরা দক্ষিণ আমেরিকার অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে যথাযথভাবে বিবেচনা করিনি, কিন্তু এখন সেটি পরিবর্তিত হচ্ছে।