
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, গাজার মানবিক সংকট মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথভাবে নতুন খাবার বিতরণ কেন্দ্র চালু করবে। তবে এই উদ্যোগের বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
ট্রাম্প বলেন, ইসরায়েল এই কেন্দ্রগুলো পরিচালনা করবে যেন খাদ্য বিতরণ সঠিকভাবে হয়।
এই সময় গাজায় ক্ষুধা ও দারিদ্র্য চরমে, এবং বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ বাড়ছে বেশি সহায়তা দেওয়ার জন্য। ট্রাম্প বলেন, তিনি গাজায় অনাহারে থাকা শিশুদের ছবি দেখে মর্মাহত হয়েছেন এবং এ কারণেই নতুন পরিকল্পনার কথা বলছেন।
তবে সমালোচকরা বলছেন, এটি আগেরই চালু হওয়া একটি বিতরণ ব্যবস্থার মতোই, যেখানে ফিলিস্তিনিদের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে, ঝুঁকি নিয়ে খাবার আনতে হয়। জাতিসংঘ এমন বিতরণ ব্যবস্থাকে মানবিক নীতির পরিপন্থী বলছে।
এদিকে মার্কিন কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা চাইছেন— ট্রাম্প প্রশাসন যুদ্ধবিরতির জন্য আবার আলোচনায় ফিরুক এবং দীর্ঘদিন ধরে ত্রাণ দিয়ে আসা অভিজ্ঞ সংস্থাগুলোর মাধ্যমে সহায়তা বিতরণ হোক।
ট্রাম্প বলেছেন, ইসরায়েল “ভালোভাবে” খাবার বিতরণ করতে পারবে। তবে অনেকেই মনে করছেন, নতুন এই ঘোষণা রাজনৈতিক চাপের মুখেই এসেছে।
গাজার পরিস্থিতি নিয়ে ট্রাম্পের অবস্থান কিছুটা বদলেছে। তাঁর কিছু ঘনিষ্ঠ সমর্থক যেমন কংগ্রেস সদস্য মার্জোরি টেইলর গ্রিন গাজায় চলমান পরিস্থিতিকে “গণহত্যা” বলেও অভিহিত করেছেন।
তবে রিপাবলিকান দলের অন্য অংশ এটিকে ‘ইসরায়েলবিরোধী প্রোপাগান্ডা’ বলে মনে করছে।