
৩১ বছরের পুরনো এ দলটি একসময় শহরের সবচেয়ে বড় বিরোধী দল ছিল।
হংকংয়ের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতারা একসময় শহরের সবচেয়ে বড় এ বিরোধী দলটি ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন।
৩১ বছরের পুরনো এ দলটি বিলুপ্ত হবে কি না, সদস্যরা দ্রুতই ভোটের মাধ্যমে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন, বলেছেন চেয়ারম্যান লো কিন-হেই।
বিবিসি লিখেছে, ২০১৯ সালের তুমুল বিক্ষোভের পর ভিন্নমতাবলম্বীদের চেপে ধরতে চীনের একের পর এক পদক্ষেপের ধাক্কায় দলটির টিকে থাকাই মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে বেইজিং ও হংকংয়ের সরকার এসব পদক্ষেপকে ‘জাতীয় নিরাপত্তার’ জন্য জরুরি বলে অভিহিত করেছে।
নিজেদের নিয়ন্ত্রণ জোরদারে বেইজিং এরই মধ্যে হংকংয়ের নির্বাচন ব্যবস্থাতেও বড় পরিবর্তন এনেছে। ২০২১ সালে পাস হওয়া ‘দেশপ্রেমিক আইনের’ ফলে এখন আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটিতে বেইজিংয়ের কমিউনিস্ট শাসনের প্রতি অনুগত নয় এমন কারও আইনপ্রণেতা বা স্থানীয় কাউন্সিলর হওয়া বেশ কষ্টকর।
এই আইন কার্যত ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে বিরত থাকতে বাধ্য করছে।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হওয়া সংবাদ সম্মেলনে লো জানান, ‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির’ ওপর ভিত্তি করে নেতারা দল বিলুপ্ত করে দেওয়ার কথা ভাবতে বাধ্য হয়েছেন।
“হংকংয়ে গণতন্ত্রের বিকাশ সবসময়ই কঠিন, গত কয়েক বছরে এটি আরও কঠিন হয়ে পড়েছে,” সাংবাদিকদের বলেন লো।
রাজনৈতিক চাপের কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে কিনা প্রশ্ন করা হলে ডেমোক্র্যাটির পার্টির চেয়ারম্যান কোনো মন্তব্য করেননি।
দলের কেন্দ্রীয় কমিটি সিদ্ধান্ত নিলেও এখনই উদারপন্থি এ দলটি বিলুপ্ত হচ্ছে না, সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে পরবর্তী সাধারণ সভায় উপস্থিতদের ৭৫ শতাংশের সম্মতি লাগবে। সাধারণ সভা কবে হবে, তার তারিখ ঠিক হয়নি।
২০১৯ সালের বিক্ষোভের মধ্যে হওয়া স্থানীয় কাউন্সিল নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অভাবনীয় সাফল্য দলটিকে হংকংয়ের সবচেয়ে প্রভাবশালী বিরোধীদলে পরিণত করেছিল। যদিও পরে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে দলটির অনেক সদস্যকেই জেলখানায় যেতে হয়, কেউ কেউ পালিয়ে আশ্রয় নেন অন্য দেশে।
২০২৩ সালে হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থি দ্বিতীয় বৃহত্তম দল সিভিক পার্টিও নিজেদের বিলুপ্ত ঘোষণা করেছিল।