Image description

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখার সহ সভাপতি মোফাসসেল হোসেন শৈকত পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক দীর্ঘ পোস্টের মাধ্যমে তিনি অনেক আগেই সংগঠনের কার্যক্রম থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন বলে জানান।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, ‘একটি বিষয় স্পষ্ট করতে চাই, আমার সাথে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কোনো অফিসিয়াল ইনভলভমেন্ট নেই। অনেক আগেই এ শাখার কার্যক্রম থেকে আমি ডিটেইচড হয়েছি।‘

তার পোস্ট থেকে জানা যায়, সংগঠনের যথাযথ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা এবং পরিচালনায় অনিয়ম থাকায় তিনি পদত্যাগ করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, জবি শাখায় নেতাদের আনুগত্য বা ‘চেইন অব কমান্ড’-এর অবস্থা দুর্বল। এভাবে চলতে থাকলে সংগঠনের জন্য সামনে এগোনো কঠিন হয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শৈকত লিখেন, ‘ইসলামী সংগঠনের যেকোনো কাজ কনসালটেশন বেইজড হওয়ার কথা হলেও যখন অন্যদের মতামত নেওয়া হয় না, এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়—সেক্ষেত্রে সংকটে পাশে কাউকে পাওয়া যায় না। এটা সংগঠনের জন্য অশুভ।‘

তিনি বলেন, সংগঠনের দায়িত্ব পালন করতে সময় দিতে না পারা, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ট্র্যাজেডি, এবং আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার বিষয়টি তাকে পদত্যাগে বাধ্য করেছে। “দায়িত্ব গ্রহণের সময় যে শপথ পড়ানো হয়, তার যথাযথ প্রয়োগ আমার দ্বারা সম্ভব হয়নি।”

শৈকত জানান, সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় তিনি সংগঠনের সদস্য হন এবং ধাপে ধাপে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন থেকে শুরু করে থানার সেক্রেটারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ ২০২১ সেশনে থানার সেক্রেটারি ছিলেন তিনি। সংগঠনের সঙ্গে তার আবেগী সম্পর্ক সারাজীবন থেকে যাবে বলেও মন্তব্য করেন।

জকসু নির্বাচনকে ঘিরে নানা প্রশ্ন ও চাপের মুখে তিনি এ পোস্ট দিতে বাধ্য হয়েছেন বলেও জানান।‘দয়া করে জকসুর প্যানেল বা পরিকল্পনা নিয়ে আমাকে প্রশ্ন করবেন না, যারা সক্রিয় আছেন তাদেরকেই জিজ্ঞাসা করবেন।‘

সবশেষে তিনি সংগঠনটির ত্রুটি সংশোধনের আহ্বান জানিয়ে লেখেন, ‘সংগঠন সামনে এগিয়ে যাক, আরও শক্তিশালী হোক। ভুল আমাদের সবারই হতে পারে। কিন্তু ভুলগুলো রেক্টিফাই করতে পারলে ভবিষ্যৎ আরও সুন্দর হবে।‘