Image description

কোভিড, ডলারের বাজারে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবসহ গত কয়েক বছরে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার প্রভাব থেকে ব্যবসা বাণিজ্যে গতি আনতে নীতি সহায়তার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ২ শতাংশ নগদায়ন করলে ঋণ পুনঃতফসিল করে খেলাপির তালিকা থেকে নাম মুছতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।

এ লক্ষ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের নীতি সহায়তা দিতে কমিটি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাই নীতি শীথিলায়নের সুযোগ নিতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্যাংকে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আসছেন রাজনীতিবীদ ও তারকারা ।

 
উদ্দেশ্য, গত ১৫ বছরে স্থবির থাকা ব্যবসায় গতি আনা। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গত ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা, সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদে ব্যবসায়ীর সংখ্যা ছিল ৬৭ শতাংশ।
 
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র বলছে, জুন মাস পর্যন্ত সবশেষ প্রান্তিকে দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকার বেশি।
 
নির্বাচনের আগে নীতি সহায়তার সুযোগে খেলাপি ঋণ নিয়মিত করে নির্বাচনের পর ক্ষমতার অপব্যবহার করে আর্থিক খাত ডুবিয়েছেন ব্যবসায়ীক রাজনীতিকরা। ফলে আবারো বিগত দেড় দশকের পুনরাবৃত্তি নিয়ে শঙ্কিত আর্থিক খাত বিশ্লেষকরা।
 
 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আল আমিন বলেন, ‘নির্বাচনে আপনি যদি মনোনীত হন, তাহলে আপনার তো আর্থিক সক্ষমতা রয়েছে। সেই সক্ষমতা অনুযায়ী পুরোটাই সিস্টেমের মধ্য দিয়ে রিশিডিউলিং না করেই নরমালি ডিউ ডিলিজেন্স অনুযায়ী করলে ভালো হয়। কারণ আপনি জনপ্রতিনিধিত্ব করতে গেলে, স্ক্যামগুলো থাকলে নিজের কাছেও তো একটা অন্য বিষয় কাজ করবে- আসলে এই জায়গাটাতে কিছুটা হলে আমার দুর্বলতা রয়েছে।’      
 
তার পরামর্শ, রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরেই খেলাপি ও অর্থপাচারের বিরুদ্ধে কঠোর নীতি আর্থিক খাতের ওপর ক্ষমতার অপব্যবহার কমাতে পারে।
 
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান  বলেন, ‘ব্যবসায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, ধরে নিতে হবে বিগত সরকারের সময় তারা সঠিক কারণে প্রোপার জাজমেন্ট পায়নি। যারা কোনো রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতা বা কোনো কিছুর স্বীকার হননি এবং অনুকূল পরিবেশে ব্যবসা করার সুযোগ পেয়েও ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করেননি তাদেরকে বিশেষ নীতির সুবিধায় বাংলাদেশ ব্যাংক বিচার করছে না।’