বিদায়ী বছরে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শুরুতে এক রকমের ফুরফুরে মেজাজে ছিল তাদের নির্বাচনী জোটসঙ্গী জাতীয় পার্টি। তবে সেই পরিস্থিতি বদলাতে সময় লাগেনি। আর বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি নতুন রাজনৈতিক ধারা সৃষ্টির প্রত্যয় নিয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের হাতে গঠিত রাজনৈতিক দলটি এখন রাজনীতিতে একঘরে।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করে অন্তর্বর্তী সরকার। এর ধারাবাহিকতায় ৩১ আগস্ট বৈঠকের ডাক পেয়েছিল জাতীয় পার্টি। তবে এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শেখ হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র নেতারা। মূলত তাদের বিরোধিতার মুখে পরবর্তীতে অন্তর্বর্তী সরকারের আর কোনো বৈঠকে ডাক পায়নি জাতীয় পার্টি।
এই দলের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত রংপুরে মুখোমুখি অবস্থানেও দেখা গেছে জাতীয় পার্টি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতাদের। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমকে রংপুরে অবাঞ্ছিতও ঘোষণা করেন সেখানকার জাতীয় পার্টির নেতারা।
আরও পরে নভেম্বর মাসে জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর আখ্যা দিয়ে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে কয়েকটি কার্যালয়ে আগুন ও ভাঙচুর করা হয়। তারপর থেকে দলটির কার্যক্রম বিবৃতিনির্ভর এবং চার দেওয়ালে বন্দী হয়ে আছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিগত ১৫ বছর আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দুঃশাসনের সঙ্গী ছিল এই জাতীয় পার্টি। ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের জন্য আওয়ামী লীগের মতো সমান দায়ী জাতীয় পার্টি। তাদের বিচারের মুখোমুখি করা উচিত রাষ্ট্রের। জনগণ ইতোমধ্যে জাতীয় পার্টিকে প্রত্যাখান করেছে। এখন সরকারের উচিত ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে জাতীয় পার্টির দায়কে আদালতের মাধ্যমে চিহ্নিত করা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য আওয়ামী লীগ যতটুকু দায়ী, তার চাইতে কম দায়ী নয় জাতীয় পার্টি। কারণ গত তিনটি নির্বাচন কোন প্রক্রিয়ায় হয়েছে, তা জাতীয় পার্টিও জানে। এর জন্য তারা সরকারের কোনো বিরোধিতা তো করেইনি, বরং তাদের সহযোগিতা করে গেছে।
বিগত তিনটি নির্বাচনে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে আওয়ামী লীগ যে সরকার গঠন করেছিল, সেই সরকারের অংশ ছিল জাতীয় পার্টি— এমন অভিযোগ করে এই বিশ্লেষক আরও বলেন, সেই সরকারের দুর্নীতিরও অংশ ছিল তারা। তারা সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাও ভোগ করেছে। তাই আমি মনে করি, গত ১৫ বছরের দুঃশাসনের জন্য আওয়ামী লীগের মতো সমান দায়ী জাতীয় পার্টি। তাদের এই জায়গা থেকে মুক্তি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”
জাতীয় পার্টির বিষয়ে আইনি ও বিচার বিভাগীয় প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলেও মনে করেন এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
৫ আগস্টের পর জাতীয় পার্টির রাজনীতি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, দলটির কার্যক্রম এখন অনেকটা বনানীতে দলের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে চার দেয়ালে বন্দী হয়ে আছে। সেখানে থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে গণমাধ্যমে বক্তব্য-বিবৃতি পাঠানো হচ্ছে। এ ছাড়া মাঝেমধ্যে দলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। এর মধ্য গত ১ নভেম্বর দলের চেয়ারম্যান ও মহাসচিবসহ দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহার এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে রাজধানীতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েও পালন করতে পারেনি জাতীয় পার্টি। এই কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়ার পর জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে তাদের কার্যালয়ে ভাঙচুর এবং আগুন দেওয়া হয় ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ব্যানারে। ওই সময় সারা দেশে দলটির আরও কয়েকটি কার্যালয়ে ভাঙচুর এবং আগুন দেওয়া হয়। মূলত সেই থেকে জাতীয় পার্টির মাঠের রাজনীতি এই আছে, এই নেই অবস্থার মধ্যে চলছে।
যদিও এরইমধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত কয়েকটি দূতাবাসের হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।
জাতীয় পার্টি গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের দাসত্বের ভূমিকা পালন করেছে। ফলে দলটির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। তবে, দাবির বিষয়টি যৌক্তিক মনে করেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
চেয়ারম্যান জি এম কাদেরসহ দলের শীর্ষ নেতাদের অভিযোগ, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার তাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। অন্যান্য রাজনৈতিক দল স্বাধীনভাবে কর্মসূচি পালন করার সুযোগ পেলেও তাদের কোনো সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এই অবস্থা বহাল থাকলে আগামী নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণ করা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। তবে, তাদের আশা নির্বাচনের আগে অবস্থার পরিবর্তন হবে। কারণ, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নির্ভর করছে সব দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ওপর। সেখানে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়ে নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। নির্বাচনের আগে সব ধরনের বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে মাঠে নামতে পারার ব্যাপারেও আশাবাদী দলটির শীর্ষ নেতারা।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের ঢাকা পোস্টকে বলেন, বৈষম্য শুধু আমাদের সঙ্গে হচ্ছে না, সারা দেশের মানুষ আবার বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। এই অবস্থা বলবৎ থাকলে একপেশে রাজনীতি হয়ে যাবে। দেশে একপেশে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। সেই নির্বাচনে আমরা যাবো কি না তখন সিদ্ধান্ত নেবো।
তিনি বলেন, এই অবস্থার পরিবর্তনের প্রতিবাদ করার দরকার হলে করবো। যাতে দেশে একপেশে নির্বাচন আর না হয়। দেশে সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া দরকার। জনগণের পক্ষে থেকে আমরা তা আদায় করার চেষ্টা করবো। একপেশে নির্বাচন করতে দেওয়া ঠিক হবে না, বাংলাদেশ এমনিতে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
“রাজনীতি করার অধিকার আমরা আদায় করে নেবো। কেউ আমাদের রাজনীতি করার অধিকার দেবে, সেই আশায় বসে থাকবো না” বলেও যোগ করেন জি এম কাদের।
ওপরের অনুমতি নেই, আপনারা কর্মসূচি পালন করতে পারবেন না
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা কর্মসূচি পালনের জন্য তিন দিন আগে প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছিলাম। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হলো ওপরের অনুমতি নেই, আপনারা কর্মসূচি পালন করতে পারবেন না। আমরা যদি কর্মসূচি পালন করতে না পারি তাহলে সংগঠনকে কীভাবে শক্তিশালী করবো? এসব কারণে আমাদের মনে হচ্ছে যে, আমরা বৈষম্যের শিকার। অন্য দলগুলোর সঙ্গে যেভাবে আচরণ করা হচ্ছে আমাদের সঙ্গে সেভাবে করা হচ্ছে না।
জাতীয় পার্টির নেতারা বলছেন, সরকারসহ বিভিন্ন মহল থেকে তাদের আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর বলা হচ্ছে। যদি আমরা ফ্যাসিবাদের দোসর হই, তাহলে আইনের মাধ্যমে তার বিচার হবে। কিন্তু সংগঠন হিসেবে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করা হয়নি। তাহলে কেন আমাদের রাজনীতি করার অধিকার দেওয়া হচ্ছে না, মাঠে নামলে হামলা করা হচ্ছে, দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হচ্ছে। আসলে আওয়ামী লীগ সরকারের পরিবর্তন হলেও রাষ্ট্রের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের কোনো পরিবর্তন হয়নি।
“সংগঠন করতে গিয়ে বৈষম্যের শিকার হচ্ছি, অন্যদিকে সরকার আমাদের কোনো মিটিং কিংবা বৈঠকে ডাকছে না। তারা বলছে আমরা ফ্যাসিবাদের সহযোগী। সহযোগী হলে তার বিচার হবে, কিন্তু আমাদের তো রাজনীতি করার অধিকার আছে।” এভাবেই বলছিলেন জাপা মহাসচিব চুন্নু।
তিনি প্রশ্ন রাখেন— সংগঠন হিসেবে তো আমরা এখন পর্যন্ত ঠিক আছি, নিষিদ্ধ তো হইনি। তাহলে সংগঠন করার ক্ষেত্রে আমরা কেন সমান সুযোগ পাবো না?”
জাতীয় পার্টির নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগও জাতীয় পার্টিকে ব্যবহার করেছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনেও আমাদের সমর্থন ছিল। রাজনৈতিক দল হিসেবে এই আন্দোলনের পক্ষে সংসদে জাতীয় পার্টির নেতারা বক্তব্য দিয়েছেন। যার প্রেক্ষাপটে ৫ আগস্টের পরে অন্তর্বর্তী সরকার প্রথম দিকে বৈঠকে জাতীয় পার্টিকে ডাকে। কিন্তু পরবর্তীতে একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠীর বিরোধীতার মুখে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো কার্যক্রমে জাতীয় পার্টিকে যুক্ত রাখা হচ্ছে না। অর্থাৎ তারাও আমাদের ব্যবহার করে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। আসলে আমরা সব সময় অবহেলিত। এই অবস্থার পরিবর্তন না হলে বলা যেতে পারে আগামী দিনের জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের পক্ষে রাজনীতি এক প্রকার অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। সেই ক্ষেত্রে নির্বাচন করা সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রংপুর বিভাগের কয়েকটি আসনের বাইরে ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগ ছাড়া জাতীয় পার্টির অতিত্ব নেই বললেই চলে। যে কারণে সব সময় জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করেই নির্বাচনে অংশ নিতে হয়েছে। মূলত জাতীয় পার্টি এতদিন আওয়ামী লীগের কল্যাণে রাজনীতি করে আসছে। এখন যেখানে আওয়ামী লীগই নেই, সেখানে জাতীয় পার্টির জাতীয় রাজনীতিতে আর কোনো ভূমিকা থাকবে না। সুতরাং রংপুরের বাইরে জাতীয় পার্টির অতিত্ব নেই বলা যেতে পারে। তবে, কেউ কেউ মনে করছেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশ নেওয়ার সুযোগ না থাকলে তার সুবিধা জাতীয় পার্টি পাবে। সেক্ষেত্রে যেসব আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী থাকবে সেখানে আওয়ামী লীগের সমর্থকদের একটা অংশের ভোট তারা পাবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সাবেক প্রধান ড. দিলারা চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আওয়ামী লীগের কল্যাণে এতোদিন রাজনীতি করেছে জাতীয় পার্টি। এখন সেই আওয়ামী লীগ যখন বিলীন হওয়ার পথে, তখন জাতীয় পার্টির তো কিছু থাকবে না। আমি মনে করি, জাতীয় রাজনীতি তাদের (জাতীয় পার্টির) আর কোনো ভূমিকা থাকবে না। ছোট-ছোট পার্টি হিসেবে হয়তো আগামী কিছুদিন তারা টিকে থাকবে।”
এই প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু বলেন, “রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া তো ভিন্ন কথা, আমরা জনগণের কাছে যাবো, তারা যদি প্রত্যাখান করে তখন দেখা যাবে। কিন্তু সবার জন্য যদি নির্বাচনের মাঠ সমান হয়, তখন আমরা চিন্তা করবো নির্বাচনে যাবো কি না।
আওয়ামী লীগ ছাড়া জাতীয় পার্টির নির্বাচনে ভোটের প্রভাব কেমন পড়বে জানতে চাইলে চুন্নু বলেন, এটা মূল্যায়ন করতে হবে ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগের নির্বাচনগুলোর আলোকে। ২০০৯, ২০০১ এবং ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আমরা কেমন ভোট পেয়েছি। মানুষের কাছে যদি আমাদের সমর্থন না থাকে তাহলে আমরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবো, তাতে কোনও সমস্যা নেই। আমরা দেখতে চাই, দেশে আমাদের ভোট আছে কি না।
আওয়ামী লীগের অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকার পরও যদি জাতীয় পার্টিকে কোনও দায় নিতে না হয় তাহলে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভোট তাদের বাক্সে যাবে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাহবুবুর রহমান।
জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত ১৫-১৬ বছর আমাদের আওয়ামী লীগের লোক মনে করা হতো। সেখানে থেকে বৈষম্যবিরোধীরাও আমাদের সঙ্গে স্বাভাবিক আচরণ না করার কারণে মানুষের কাছে আমাদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। সেখানে আওয়ামী লীগ মাঠ ছাড়া হয়ে গেলেও আমরা হইনি।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়ে নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে তো প্রশ্ন উঠবে। ছাত্রদের চাপে বর্তমান সরকার এখন জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করলেও আগামী নির্বাচনের আগে এই অবস্থার পরিবর্তন হবে বলে বিশ্বাস করি। কারণ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নির্ভর করছে আগামী নির্বাচনের ওপর।