Image description

প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও বঞ্চনার মিশেলে যাদের রাজনীতি আবর্তিত হয়েছে, তাদের প্রাপ্তির খাতা অনেকটা শূন্য থাকাই যেন নিয়তি। নানা বলয় ও অনিয়মের রাজনীতির কারণে বঞ্চিত বিএনপি নেতাকর্মীর সংখ্যা কম নয়।

বঞ্চিতদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলে অনুপ্রবেশকারী ও বিতর্কিতদের সংখ্যা বাড়ছে। দলের সবস্তরে এদের বিরুদ্ধে একাট্টাও হতে চান তারা।

দলটির একজন কর্মী বলেন, বিগত সময়ে অনেকে আওয়ামী লীগের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য করে গা বাঁচিয়ে চলেছেন। বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে কর্মসূচিতে আসেননি। তাদেরকে যাতে কমিটিতে রাখা না হয়।

বিএনপির ৮২টি সাংগঠনিক জেলার কোথাও দুই সদস্যের কমিটি রয়েছে, আবার কোথাও নেই। এছাড়া কোনো কোনো জায়গায় বির্তকিতরা পদে রয়েছেন। থানা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন কমিটির অবস্থা এর চেয়ে জীর্ণ।

এমন বাস্তবতায় দল পুনর্গঠনে ইউনিট ভিত্তিক কাউন্সিল শুরু করেছে বিএনপি। বির্তকিতদের পদ পাওয়া ঠেকাতে ১০ সাংগঠনিক বিভাগের জন্য আলাদা কমিটি করা হয়েছে। পাশাপাশি চলতি বছরেই জাতীয় কাউন্সিলও করতে চায় দলটি। দলটির শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, গত ১৫ বছর নানাভাবে অবদান রাখা নেতারা কাউন্সিলে গুরুত্ব পাবেন।

এ বিষয়ে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল বলেন, এ বছরের মধ্যেই জাতীয় কাউন্সিল করার চিন্তা রয়েছে হাইকমান্ডের। এ লক্ষ্যে আগামী দুই মাসের মধ্যে মেয়াদউত্তীর্ণ কমিটিগুলো গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এদিকে, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ অনুযায়ী তিন বছর পরপর নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের কাউন্সিল করার বিধান রয়েছে। কিন্তু বিএনপির সবশেষ জাতীয় কাউন্সিল ২০১৬ সালে হয়েছে। যদিও এই সময়ে গঠনতন্ত্রের ক্ষমতাবলে দলে একাধিক পদে রদবদল করেছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এরপরও দলটির স্থায়ী কমিসহ ও নির্বাহী কমিটির ১২০টি পদ শূন্য রয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিগত সময়ে আমাদের টিকে থাকার সংগ্রাম ছিল। দেশে কোনো গণতান্ত্রিক পরিবেশ ছিল না। বর্তমানে সেই পরিস্থিতি নেই। এরইমধ্যে দল পুনর্গঠনে কাজ শুরু হয়েছে। ইউনিট ভিত্তিক কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি দেয়া হচ্ছে। এই কার্যক্রম শেষ হলে জাতীয় কাউন্সিল হবে।

অপরদিকে, তারেক রহমান দেশে ফিরে দলের সপ্তম জাতীয় কাউন্সিলে সভাপতিত্ব করবেন বলে আলোচনা আছে। আগামী জুলাই কিংবা আগস্ট মাসে এই কাউন্সিল হতে পারে। তবে শেষপর্যন্ত দলটির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হলেও তাতে বড় কোনো চমক থাকবে না। কারণ আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নেতৃত্ব নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চায়না দলটির হাইকমান্ড।