Image description
 

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে বিএনপির পালটাপালটি মিছিল, সমাবেশ, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। 

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকালে দু’পক্ষের পালটাপালটি কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মণ্ডল ১৪৪ ধারা জারি করেন। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনী সদস্যরা লাঠিচার্জ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

জানা গেছে, গত সপ্তাহ জুড়ে বিভিন্ন ইউনিয়ন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু'পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে আসছিল।

কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ইবাদুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব ডা. মো. শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে তারালী এবং চাম্পাফুল ইউনিয়ন কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে আওয়ামী ঘরনার লোক ঢুকানো হয়েছে এমন দাবি তুলে বিএনপির অপর গ্রুপ গত দুদিন ধরে বিক্ষোভ সমাবেশ করে আসছে।

 

সোমবার বিএনপির আহ্বায়ক শেখ এবাদুল ইসলামের পক্ষের গ্রুপ আনন্দ মিছিলের ঘোষণা দেয়। এর প্রতিবাদে থানা বিএনপির অপর গ্রুপের আহ্বায়ক শেখ নুরুজ্জামান এবং সদস্য সচিব চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ আহ্বান করে।

বিকাল ৪টায় শেখ এবাদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি বিশাল শোভাযাত্রা কালিগঞ্জ-শ্যামনগর মহাসড়ক হয়ে উত্তর কালিগঞ্জ প্রদক্ষিণ শেষে ফুলতলার গোল চত্বরে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।

সেখানে শেখ এবাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব ডা. শফিকুল ইসলাম বাবুসহ উপজেলা এবং ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

অন্যদিকে বিএনপির অপর অংশের আহ্বায়ক দাবি করে শেখ নুরুজ্জামান এবং সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে যুবদল, ছাত্রদলসহ বিএনপির শত শত নেতাকর্মী পালটা মিছিল নিয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কালিগঞ্জ থানা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।

এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়ালে গোটা এলাকা রণক্ষেত্র পরিণত হয়। মিছিল সমাবেশ চলাকালীন দু’পক্ষের ইট পাটকেল ও লাঠি পেটায় বেশ কয়েকজন আহত হন।

পরে দু’পক্ষের নেতাকর্মী-সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে।

কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুজা মণ্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উপজেলা সদর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।