Image description
 

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবনের। একজন সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী থেকে দেশের ক্ষমতাসীন দল বিএনপির চেয়ারপারসন এবং তিনবারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়া দেশের রাজনীতিতে অমোঘ প্রভাব ফেলেছেন। কিন্তু শেখ হাসিনার শাসনের আমলে এই রাজনীতির পথ তার জন্য সহজ ছিল না। বিএনপি নেত্রী হিসেবে খালেদা জিয়া বিভিন্ন সময়ে রাষ্ট্রীয় বাধা ও রাজনৈতিক হুমকির শিকার হন।
শেখ হাসিনার সরকারের আমলে নির্বাচন, মামলা, প্রশাসনিক চাপ, হেফাজত—এসবের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যক্রম সীমিত করার চেষ্টা করা হয়। এমনকি নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনিক প্রভাব ব্যবহার করে বিএনপির প্রচারণা, জনসভা এবং রোডশোতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ছিল। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়াকে হেফাজতে নেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে মামলার অভিযোগ ছাড়া কারাবন্দী রাখার ঘটনাও ঘটেছে, যা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক এবং মানবাধিকার সংস্থার নজরে এসেছে।
শেখ হাসিনার শাসনের সময় খালেদা জিয়ার পরিবার এবং দলের শীর্ষ নেতাদেরও বিভিন্ন মামলা, জব্দ এবং হেফাজতের মাধ্যমে রাজনৈতিকভাবে চাপে রাখা হয়েছিল। এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা "রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে বিরোধী দলকে দুর্বল করার কৌশল" হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
রাজনীতিবিদ এবং বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই চাপই খালেদা জিয়াকে আরও দৃঢ় এবং গণতান্ত্রিকভাবে লড়াই চালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। প্রতিটি পরিস্থিতিতেই তিনি বিপুল জনপ্রিয়তা বজায় রেখেছেন এবং বিএনপি প্রধান রাজনৈতিক বিরোধী দল হিসেবে দেশের রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন।
শেখ হাসিনার শাসনের আমলে এই ধরণের রাজনৈতিক নির্যাতন, হেফাজত এবং প্রশাসনিক বাধা খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সাহস, ধৈর্য এবং নেতৃত্বের গভীর প্রভাব তুলে ধরেছে। এভাবেই তিনি দেশের রাজনীতির এক অদম্য প্রতিরূপ হিসেবে অবস্থান করেছেন।