Image description

বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (Bangladesh Nationalist Party – BNP) বিএনপির প্রধান। দলীয় প্রধান হিসেবে অফিসিয়ালি পদবী চেয়ারপারসন। ১৯৪৬ সালের ১৫ আগস্ট ভারের জলপাইগুড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন খালেদা খানম পুুতুল। তিনি ১৯৯১-১৯৯৬ সাল এবং ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত দু দফায় মোট ১০ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশে‘র প্রথম ও মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী।

বেগম খালেদা জিয়ার প্রকৃত নাম খালেদা খানম, ডাক নাম পুতুল। আগস্ট ১৫, ১৯৪৬ সালে জলপাইগুড়িতে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন। তিন বোন এবং দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি তৃতীয়। ভাইয়েরা সবার ছোট। তাঁর পিতামহ হাজী সালামত আলী, মাতামহ জলপাইগুড়ির তোয়াবুর রহমান। বাবা ইস্কান্দর মজুমদার এবং মা বেগম তৈয়বা মজুমদার।

খালেদা জিয়ার স্বামী স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে গঠিত প্রথম ব্রিগেড জেড ফোর্সের অধিনায়ক ও সেক্টর কমান্ডার হিসেবে রণাঙ্গনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান,সাবেক ভিশনারি রাষ্ট্র নায়ক। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য জিয়াউর রহমান বীরউত্তম উপাধীর অধিকারী ছিলেন। 

খালেদা জিয়ার এক ভাই মেজর (অব.) সাইদ ইস্কান্দার বিএনপি থেকে ফেনী-১ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। তার দুই ছেলের মধ্যে বড় তারেক রহমান (জন্মঃ ২০ নভেম্বর ১৯৬৭) বিএনপির ১ম ভাইস-চেয়ারম্যান। তার কনিষ্ঠ ছেলে আরাফাত রহমান কোকো (১২ আগস্ট ১৯৭০ – ২৪ জানুয়ারি ২০১৫)। আরাফাত রহমান কোকো ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি মালায়া হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। ক্রীড়ামোদি আরাফাত রহমান কোকো একজন ব্যবসায়ী ছাড়াও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও সিটি ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

খালেদা জিয়ার স্থায়ী নিবাস

দিনাজপুর শহরের মুদিপাড়া হলেও তার আদি পিতৃ-ভিটা ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মজুমদার বাড়ী। বাবা ইস্কান্দর মজুমদার ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। ইস্কান্দর মজুমদার ১৯১৯ সালে ফেনী থেকে জলপাইগুড়ি যান। সেখানে তিনি বোনের বাসায় থেকে মেট্রিকুলেশন পাস করেন ও পরে চা ব্যবসায়ে জড়িত হন। ১৯৩৭ সালে জলপাইগুড়িতে বিয়ে করেন। জলপাইগুড়ির নয়াবস্তি এলাকায় ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত বসবাস করেন। ১৯৮৪ সালের ১৫ নভেম্বর ইন্তেকাল করেন। মা বেগম তৈয়বা মজুমদার ছিলেন নিতান্তই একজন গৃহিনী। 

 

খালেদা জিয়ার শিক্ষা

খালেদা জিয়ার স্কুলজীবন শুরু হয় পাঁচ বছর বয়সে দিনাজপুরের মিশন স্কুলে। এরপর দিনাজপুর গার্লস স্কুলে ভর্তি হন। পরবর্তীতে পড়াশুনা করেন সুরেন্দ্রনাথ কলেজে।

বিয়ে
১৯৬০ সালের আগস্ট মাসে ক্যাপ্টেন জিয়াউর রহমানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। জিয়াউর রহমানের ডাক নাম কমল। জিয়া তখন ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন চৌকশ ক্যাপ্টেন। ডিএফআই এর অফিসার হিসাবে তখন দিনাজপুরে কর্মরত ছিলেন।

সংসার

১৯৬৫ সালে খালেদা জিয়া স্বামীর সঙ্গে পশ্চিম পাকিস্তানে (বর্তমানে পাকিস্তান) যান। ১৯৬৯ সালের মার্চ পর্যন্ত করাচিতে স্বামীর সঙ্গে ছিলেন। এরপর ঢাকায় চলে আসেন। কিছুদিন জয়দেবপুর থাকার পর চট্টগ্রামে স্বামীর পোস্টিং হলে তার সঙ্গে সেখানে এবং চট্টগ্রামের ষোলশহর একালায় বসবাস করেন। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে খালেদা জিয়া কিছুদিন আত্মগোপন করে থাকার পর ১৬ মে নৌপথে ঢাকায় চলে আসেন। বড় বোন খুরশিদ জাহান হক চকলেটের বাসায় ১৭ জুন পর্যন্ত থাকেন। ২ জুলাই সিদ্ধেশরীতে এস আব্দুল্লাহর বাসা থেকে পাক সেনারা তাকে দুই ছেলেসহ বন্দী করে। ১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে বন্দী ছিলেন। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হলে তিনি মুক্তি পান। রাজনীতিতে আসার আগ পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়া একজন নিতান্তই সাধারণ গৃহবধু ছিলেন। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি থাকাকালীনও রাজনীতিতে বেগম খালেদা জিয়ার ন্যুনতম উপস্থিতি ছিল না।

রাজনীতিতে খালেদা জিয়া

১৯৮১ সালের ৩০ মে বিপদগামী একদল সেনাকর্মকর্তাদের এক ব্যর্থ সামরিক অভুত্থ্যানে জিয়াউর রহমান শহীদ হন। এরপর বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মিদের আহ্বানে তিনি ১৯৮২ সালে ৩ জানুয়ারি বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ তৎকালী সেনাপ্রধান লেফটেনেন্ট জেনারেল হুসেইন মো. এরশাদ রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। খালেদা জিয়া এর বিরোধিতা করেন। ১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে তিনি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হন। ১৯৮৩ সালের ১ এপ্রিল দলের বর্ধিত সভায় তিনি প্রথম বক্তৃতা করেন। বিচারপতি সাত্তার অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৮৪ সালের ১০ মে পার্টির চেয়ারপারসন নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হন। তার নেতৃত্বেই মূলতঃ বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে পূর্ণ বিকাশ লাভ করে।

আন্দোলন

১৯৮৩ সালের খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সাতদলীয় ঐক্যজোট গঠিত হয়। একই সময় এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়। তিনি প্রথমে বিএনপিকে নিয়ে ১৯৮৩ এর সেপ্টেম্বর থেকে ৭ দলীয় ঐক্যজোটের মাধ্যমে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন শুরু করেন। একই সময় তার নেতৃত্বে সাতদল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন পনের দলের সঙ্গে যৌথভাবে আন্দোলনের কর্মসূচী শুরু করে। ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত পাঁচ দফা আন্দোলন চলতে থাকে। কিন্তু ১৯৮৬ সালের ২১ মার্চ রাতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এরশাদের সঙ্গে আতাত করে তার অধীনে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে বাঁধার সৃষ্টি হয়। ১৫ দল ভেঙ্গে ৮ দল ও ৫ দল হয়। ৮ দল নির্বাচনে যায়। এরপর খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ৭ দল, পাঁচদলীয় ঐক্যজোট আন্দোলন চালায় এবং নির্বাচন প্রত্যাখান করে। ১৯৮৭ সাল থেকে খালেদা জিয়া “এরশাদ হটাও” এক দফার আন্দোলন শুরু করেন। এর ফলে এরশাদ সংসদ ভেঙ্গে দিতে বাধ্য হয়।পুনরায় শুরু হয় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। অবশেষে দীর্ঘ আট বছর একটানা নিরলস ও আপোসহীন সংগ্রামের পর ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে বিএনপি। খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। সেই নির্বাচনে খালেদা জিয়া মোট পাঁচটি আসনে অংশ নিয়ে পাঁচটিতেই জয়লাভ করেন।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন

১৯৯১ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়া পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন। তার সরকার দেশে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার কায়েম করে। ২ এপ্রিল তিনি সংসদে সরকারের পক্ষে এই বিল উত্থাপন করেন। একই দিন তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদকে স্বপদে ফিরে যাবার ব্যবস্থা করে একাদশ সংশোধনী বিল আনেন। ৬ আগস্ট ১৯৯১ সালের সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে বিল দুটি পাশ হয়।
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। যা পরবর্তীতে ৯৬ এর একদলীয় নির্বাচন হিসেবে গণ্য হয়। সকল বিরোধীদলের আপত্তির মুখেও খালেদা জিয়া ও তার দল এই একক নির্বাচন করেন। আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন বয়কট করে। এই সংসদ মাত্র ১৫ দিন স্থায়ী হয়। খালেদা জিয়া এই সংসদের ও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাস হয় এবং বিরোধীদলের বিরোধীতার দাবি মেনে খালেদা জিয়া পদত্যাগ করেন।
১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মোট ১১৬ আসনে জয় লাভ করে, যা সরকার গঠনে যথেষ্ঠ ছিলনা। আওয়ামী লীগ মোট ১৪৭ আসন লাভ করে, তারা জাতীয় পার্টির সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে। বিএনপি সপ্তম সংসদে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ বিরোধী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। খালেদা জিয়া আওয়ামী লীগের পাঁচ বছর শাসনকালে সংসদে বিরোধী দলীয় প্রধান ছিলেন।

অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি জামাতে ইসলামী, ইসলামী ঐক্যজোট ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে চারদলীয় ঐক্যজোট গঠন করে। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর সংসদ নির্বাচনে চারদলীয় ঐক্যজোট বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। খালেদা জিয়া এই সংসদেও প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর এই সংসদের মেয়াদ শেষ হয়।

২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে চারদলীয় ঐক্যজোট বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়। মহাজোটের প্রায় ২৬০ টি আসনের বিপরীতে চার দলীয় ঐক্যজোট মাত্র ৩২টি আসন লাভ করে।
খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন জোটসহ বাংলাদেশের অনেকগুলো রাজনৈতিক দল ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে।

গ্রেফতার ও কারাগার

প্রথম গ্রেপ্তার ১৯৭১ সাল পাকবাহিনী ২ জুলাই ঢাকার সিদ্ধেশ্বরীতে এক আত্মীয় বাসা থেকে। ১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি বিএনপির প্রাথমিক সদস্য হিসেবে দলে যোগ দেবার পর থেকে মোট ৬ বার তিনি গ্রেফতার হন। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় ১৯৮৩ সালের ২৮ নভেম্বর, ১৯৮৪ সালের ৩ মে, ১৯৮৭ সালের ১১ নভেম্বর গ্রেফতার হন। ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর ৩ তারিখে দুদকের দায়ের করা মামলার অভিযোগে পুত্রসহ গ্রেফতার হন। ২০০৮ সালের ১১ই সেপ্টেম্বার তিনি হাইকোর্টের নির্দেশে মুক্তিলাভ করেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক গ্রেপ্তার হবার পর দীর্ঘ এক বছর সাত দিন কারাগারে অবস্থানকালে তার বিরুদ্ধে চলতে থাকা কোন মামলারই উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি হয়নি এবং চলতে থাকা তদন্তে তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগই প্রমাণিত হয়নি।

ভোটার বিহীন দখলদার আওয়ামী লীগ সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় দুদকের করা মামলায় ফরমায়েসী রায়ে ২০১৮ সাল ৮ ফেব্রুয়ারী সাজা রায় দেয়। তিনি ২ জুন ২০২৪ পর্যন্ত কারাগারে থাকেন। পরে করোনার ভয়াবহতায় সরকারের নির্বাহী আদেশে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে থাকেন। 

সেনানিবাসের বাসা থেকে উচ্ছেদ

১৩ নভেম্বর ২০১০ বেগম খালেদা জিয়াকে তার ২৮ বছরের আবাসস্থল থেকে উচ্ছেদ করে তৎকালীন আওয়ামী সরকার। তিনি অভিযোগ করেন, তাকে বলপ্রয়োগে ও অভব্য ব্যবহারের মধ্যদিয়ে বাসা থেকে এক কাপড়ে বের করে দেয়া হয়েছে। তবে সরকারী পক্ষ থেকে বলা হয়, তিনি স্বেচ্ছায় বাসা ত্যাগ করেছেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সাল থেকে অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল হিসেবে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে শহীদ মইনুল সড়কের ৬ নম্বর বাড়িতে ওঠেন খালেদা জিয়া। ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়া চট্টগ্রামে এক ব্যর্থ সেনা অভ্যূত্থানে নিহত হলে ১২ জুন তৎকালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তার সেনানিবাসের ওই বাড়িটি খালেদা জিয়ার নামে বরাদ্দ দেন। 

কঠোর সংগ্রাম

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বর্জন করে খালেদা জিয়া বিরোধী দলীয় নেত্রীর পদ হারান। এরপর থেকে বর্তমানে রাষ্ট্র পরিচালনার কোথাও তার উপস্থিতি ছিল না। তার দলের অনেক নেতার উপর রয়েছে আওয়ামী সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে রাজনীতির অভিযোগ। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মোট ২০টি মামলা হয়। এর মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার সংখ্যা পাঁচটি। বাকিগুলো ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় করা সহিংসতা, নাশকতা, রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির পিটিশন মামলা। 

প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশে‘র প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া 
উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা-
*- ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
আওয়ামী ফ্যাসিস সরকার রাজনৈতিক হয়রানি মূলক মামায় ফরমায়েসী রায়ে 
কারাগারে পাঠায়

*- ৬ অক্টোবর ২০১৮ সাল
কারাগার থেকে অসুস্থ অবস্থায় পিজি হাসপাতালে আনা হয়

*- ২৫ মার্চ ২০২০ সাল সরকারের নির্বাহী আদেশে পিজি হাসপাতাল থেকে বাসায় আসেন

*- ১১ এপ্রিল ২০২১ কোভিড-১৯ ভাইরাস পজিটিভ রিপোর্ট আসে-
১৫ এপ্রিল ২০২১ এভার কেয়ার হাসপাতালে সিটি স্ক্যান করা হয়

*- ২৭ এপ্রিল ২০২১ কোভিড-১৯ ভাইরাসের পজিটিভ চিকিৎসার জন্য প্রথম এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হোন-

*- ১৯ জুলাই ২০২১ কোভিড-১৯ পজিটিভ প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন-
দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ১৮ আগস্ট 
তৃতীয় ডোজ টিকা ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২

*- প্রথম অপারেশন ২৫ অক্টোবর ২০২১

*- ১১ জুন ২০২২ সর্বশেষ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মধ্য রাতে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হোন

*- ২৪ জুন হাসপাতাল থেকে বিকাল ৫ টায় হাসপাতালে বাসায় আসেন

*- ২২ আগস্ট ২০২২ বিকাল ৩ টা ৫৭ মিনিট গুলশান চেয়ারপারসনের বাসা থেকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতাল

*- ২৮ আগস্ট ২০২২ এভার কেয়ার হাসপাতাল ভর্তি হোন
৩১ আগস্ট হাসপাতাল থেকে বাসায় আসেন

*- ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ বেলা ৩ টা স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতাল 

*- ২৯ এপ্রিল এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন

*- ৪ মে হাসপাতাল থেকে বাসায় আসেন

*- ১৩ জুন রাত ১ টা ৩০ মিনিট এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন

*- ৯ আগস্ট ২০২৩ হাসপাতালে ভর্তি হন

*- ২৫ অক্টোবর আমিরিকান
৩ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আসেন

*-২৬ অক্টোবর আমেরিকান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক চেয়ারপারসনের অপারেশন করেন

*- ২৮ অক্টোবর ওই চিকিৎসকগ চলে যান

*-১১ জানুয়ারি বিকাল ৫ টা হাসপাতাল থেকে ৫ মাস ২ দিন পর বাসায় ফেরেন

*- ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ আবার এভারকেয়ার হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যান

*- ৩১ মার্চ ২০২৪ হাসপাতালে ভর্তি হন

*- ২ এপ্রিল ২০২৪ হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন

*- ১ মে ২০২৪ বুধবার স্বাস্থ্য পরিক্ষার জন্য হাসপাতালে যান

*- ২ মে ২০২৪ হাসপাতাল থেকে বাসায় আসেন

*- ২২ জুন ২০২৪ রাত ৩ টায় হাসপাতালে ভর্তি হন

*- ২ জুলাই ২০২৪ সন্ধ্যা ৬ টা বাসায় আসেন

*- ৮ জুলাই ২০২৪ ভোর ৪ টা ২০ মিনিট বাসা থেকে হাসপাতালে যান

*- ২১ আগস্ট ২০২৪ বাসায় ফিরেন

*- ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান-

*- ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ রাত ১ টা ৩০ মিনিট হাসপাতালে যান

*- ৭ জানুয়ারি ২০২৫ লন্ডনে চিকিৎসার জন্য ঢাকা থেকে রওনা করেন

*- ৫ মে ২০২৫ চিকিৎসা শেষে লন্ডন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা করেন

*- ১৯ জুন ২০২৫ এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি

*- ২৪ জুলাই ২০২৫ মধ্য রাতে এভার কেয়ার হাসপাতালে 

*- ২৮ আগস্ট ২০২৫ এভারকেয়ার হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা জন্য যান

*- ১৫ অক্টোবর ২০২৫ বুধবার রাত ১১ টা এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন

*- সর্বশেষ ২৩ নভেম্বর ২০২৫ এভার কেয়ার হাসপাতালে রাতে ভর্তি করা হয়

আজ ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার বিজয়ের মাসে ভোর ৬ টায় দুনিয়া থেকে চিরবিদায় নিয়েছেন। (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না-ইলাইহি রাজিউন।)

খালেদা জিয়ার সর্বশেষ-

*-সর্বশেষ সমাবেশ ২০১৭ সাল ১২ নভেম্বর (‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে 

*- সর্বশেষ ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস সমাবেশ ২০১০ নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় অফিস সামনে 

*- সভাপতিত্ব করেন-সাদেক হোসেন খোকা। এটা চারদলীয় জোট শীর্ষ নেতা ফজলুল হক আমিনীরও শেষ সমাবেশ ছিল।

*- সর্বশেষ ইফতার ও ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান, ২০১৬ বসুন্ধরা কনভেনশন হলে।

*- সর্বশেষ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মাজার জিয়ারত ২০১৮

*-সর্বশেষ
সংবাদ সম্মেলন, নির্বাহী কমিটি সভা, স্হায়ী কমিটি সভা ও ২০ দলীয় জোট সভা, ২০১৮ ফেব্রুয়ারী মাস

*- সর্বশেষ সড়ক পথে ঢাকার বাইরে যাত্রা সিলেট হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজার জিয়ারত ২০১৮ ফেব্রুয়ারী মাসে।

*- সর্বশেষ বিদেশ উন্নত চিকিৎসার জন্য কাতরের আমীরের দেয়া বিশেষ বিমানে লন্ডন যাত্রা করেন।

*- সর্বশেষ জন্মদিন উপলক্ষে গুলশান চেয়ারপারসন অফিস কেক কেটে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ২০১৫ সালে