Image description
 

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি এই হামলাকে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পুনরুদ্ধার হওয়া গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার ওপর ‘সরাসরি আঘাত’ বলে মন্তব্য করেছে। গুরুতর আহত শরীফ ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছে এনসিপি।

এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব এবং মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই ন্যক্কারজনক হামলা দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং আসন্ন নির্বাচনী পরিবেশের ভঙ্গুরতা সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে এনসিপি বিশেষ উদ্বেগ জানিয়ে বলেছে, শরিফ ওসমান হাদি হামলার আগেই প্রকাশ্যে হুমকির কথা জানালেও তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টি কার্যালয়ের সামনে বারংবার ককটেল হামলা এবং একজন প্রার্থী হুমকি পাওয়ার পরেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের এই ব্যর্থতাকে ‘দায়িত্বহীনতা, অদক্ষতা ও উদাসীনতার নগ্ন উদাহরণ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে দলটি।

জাতীয় নাগরিক পার্টি তাদের বিবৃতিতে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগ জনগণের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালিয়েছে, সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলেছে, এবং তাদের অবশিষ্ট সন্ত্রাসী বাহিনী এখনো সক্রিয়ভাবে দেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। সরকার যদি অবিলম্বে আওয়ামী লীগের এই সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনা না করে, তবে তারা আবারও গণতান্ত্রিক উত্তরণকে বাধাগ্রস্ত করবে এবং দেশকে সহিংস অরাজকতার দিকে ঠেলে দেবে।

দলটি দৃঢ়ভাবে জানিয়েছে, এখন গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিগুলোর একে অপরকে দোষারোপ করে রাজনৈতিক লাভ তোলার সময় নয়, বরং প্রকৃত অপরাধী ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করার সময়। তারা সতর্ক করে বলেছে, গণ-অভ্যুত্থানের শক্তি বিভক্ত হলে ‘পতিত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ ও দেশবিরোধী চক্র’ সুযোগ নেবে।

জাতীয় নাগরিক পার্টি দেশের সব গণতান্ত্রিক শক্তি ও আপামর জনগণকে সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এবং যেকোনো হুমকি উপেক্ষা করে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক উত্তরণ নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকার ঘোষণা দিয়েছে।

এনসিপি অবিলম্বে এই হামলার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত, হামলাকারীদের গ্রেপ্তার, হুমকির উৎস শনাক্ত করা-সহ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান এবং সব প্রার্থী ও নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে।