Image description
 

‘দেশে ‘জিয়াবাদ’ ও ‘মুজিববাদ’ আর চাই না’- বলে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী যে বক্তব্য দিয়েছেন তার সমালোচনা করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘আমি বলব, ভাই আপনাকে কে দেখতে বলেছে? কে ঠিকাদারি দিয়েছে আপনাকে? চোখ নাই, মাথা নাই, বুদ্ধি নাই, বিবেচনা নাই? আপনারা মুজিবকে বিরোধিতা করেন, কিন্তু জিয়াকে বিরোধিতা করলে আপনাকে মুজিবের পক্ষের লোক হিসেবে অনেকে ধারণা করবে।’

আজ শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর উদ্দেশে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বিভ্রান্ত সৃষ্টি করবেন না। বিভ্রান্তি সৃষ্টি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে দ্বিধান্বিত করবে। এটা ঠিক হবে না। সে জন্য আমার মনে হয়, বিএনপিকে সমালোচনা করতে গিয়ে আপনি যে পরোক্ষে গণতন্ত্রের সমালোচনা করছেন, ফ্যাসিবাদের পক্ষে চলে যাচ্ছেন, এটা কী আপনি খেয়াল করেছেন? আগামীর দিন হচ্ছে জাতীয়তাবাদীদের দিন। আগামী দিন হচ্ছে- যারা শহিদ জিয়ার কর্মী, বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের কর্মী তাদের দিন।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য নিয়ে সমালোচনার প্রসঙ্গে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘যারা গণতন্ত্র এবং বাস্তবতায় থাকতে চান, তাদের মহাসচিবের বক্তব্যকে অভিনন্দন জানানো উচিত ছিল। কিন্তু তার সদিচ্ছা নিয়ে, তার উদ্যোগ নিয়ে যে কথা বলা হয়েছে, এটা দুঃখজনক ঘটনা।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন নির্বাচন নিয়ে নানান কথা হচ্ছে। গণতন্ত্র ফিরে না আসলে অর্থাৎ ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করার পরে জাতি গণতন্ত্রে ফিরবে, এটা তো বাস্তবসম্মত। গণতন্ত্রে ফেরার জন্য একমাত্র পথ হলো নির্বাচন। নির্বাচনের মধ্যে জাতিকে যদি না নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে গণতন্ত্র ফিরে আসার দ্বিতীয় কোনো পথ আছে বলে মনে হয় না।’

দুদু বলেন, ‘যারা গণতন্ত্রে ফিরতে চান, তারা গণতন্ত্রের কথা বলছেন। আর যাঁরা নির্বাচনকে বিরোধিতা করতে চান, তারা গণতন্ত্রের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। আমাদের মহাসচিব স্পষ্ট করে বলেছেন, এই সরকারকে নিরপেক্ষভাবে ভূমিকা পালন করতে হবে। অর্থাৎ সব দলের সঙ্গে এই সরকারের সমান অধিকার থাকতে হবে। কিন্তু, নতুন কোনো রাজনৈতিক দল গঠনের যারা উদ্যোগ নিয়েছেন, তারা যদি সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন, তাহলে বিতর্ক সৃষ্টি হবে। মহাসচিব সত্য কথা বলেছেন।’

আরাফাত রহমান কোকের স্মৃতিচারণা করে বিএনপির এ ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘আরাফাত রহমান কোকো শুধু জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার আদরের পুত্র নন, তিনি একজন বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠকও ছিলেন। তিনি রাজনীতির সঙ্গে না থাকলেও, তিনি রাজনৈতিক পরিবারের একজন আদরের সন্তান ছিলেন। এই ধরনের একটা পরিবারের মানুষকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে; এটা আমার কাছে মনে হয়েছে।’

ধানের শীষ ঐক্যমঞ্চের (ঘাটাইল) আয়োজিত দোয়া মাহফিল পূর্ব সভায় সভাপতিত্ব করেন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম টুটুল। এ সময় বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম রফিক, লোটন খন্দকার, হাতেম আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।