Image description

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘নেতার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা, বিশেষ চেয়ার, বিশেষ প্রটোকল। এই বিশেষ মানুষকে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ আর নেতা হিসেবে আমরা মানব না। আমরা প্রয়োজন ১০টা ভোট পাব কিন্তু চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলতেই থাকবে। আমরা প্রয়োজনে ৩০০ ভোট পাব কিন্তু চাঁদাবাজের কাছে কখনো মাথানত করব না।

দেবীদ্বার থেকে চাঁদাবাজদের নির্মূল না করা পর্যন্ত এ লড়াই চলবে।’

রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার গুনাইঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের বল্লভপুর বাজারে নির্বাচনী পদযাত্রা শেষে ‘উঠানে রাজনীতি’ শীর্ষক এক উঠান বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।

এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘আমার মায়েরা-বোনেরা রোজা রেখে আমাকে ভোট দিতে আসবেন। বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া আমার ভাই-বোনরা আমার জন্য কাজ করবেন।

 
রাজমিস্ত্রি ও খেটে খাওয়া মানুষ যারা আমার আব্বার বন্ধুরা আছেন এবার তারাই হবেন আমার নির্বাচনে এজেন্ট। কারণ তাদের সন্তান এবার নির্বাচনে দাঁড়িয়েছে। মা-বাবার এবারের ভোট তাদের সন্তানের পক্ষে হোক।’

হাসনাত আব্দুল্লাহ আরো বলেন, ‘আমাদের সমাজে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হচ্ছে তরুণ প্রজন্ম।

যারা জাগতিক স্বার্থের কাছে পরাজয় বরণ করে না, যারা গুলির কাছে বুক পেতে দেয়, এবার নির্বাচন হবে তাদের জন্য পরীক্ষা। দাদা দেখে নাতিকে কেউ ভোট দেয় না, ব্যক্তি দেখে ভোট দেয়।’ 

তরুণ এই নেতা বলেন, ‘যে সংসদে যাবে তাকেই ভোট চাইতে আসতে হবে। যে সংসদে যাবে সে মাতব্বরি করবে। আর যদি অন্য কেউ মাতব্বরি করতে চায় তাহলে তাকে নিজে ভোটে দাঁড়াতে হবে।

এখন যদি কেউ মনে করে লাঠি দিয়ে দেশ চালাবে শেখ হাসিনার কথা কি তাদের মনে আছে? আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, কারণ আমরা যারা নেতা বানাই নেতারা আমাদের কখনো মানুষই মনে করে না।’

উঠান বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন দেবীদ্বার উপজেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান সমন্বয়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকার, কেন্দ্রীয় যুবশক্তির সদস্য মো. নাজমুল হাসান নাহিদ, দেবীদ্বার উপজেলা এনসিপি যুগ্ম সমন্বয়কারী শামীম কাউছার, সাইফুল ইসলাম শামীমসহ প্রমুখ।