Image description

গাজীপুরের শ্রীপুরে অস্ত্রসহ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক মোল্লা (৪৮) এবং তার সাত সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাত আড়াইটা থেকে ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বরমী ইউনিয়নের বরকুল গ্রামে এনামুলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতার কৃতরা হলো– শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরকুল গ্রামের মৃত আবদুল আহাদের ছেলে ও বরমী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক মোল্লা (৪৮), তার সহযোগী শওকত মীর, জাহিদ, মোস্তফা, সিদ্দিক, বুলবুল এবং তোফাজ্জল।

স্থানীয়রা জানান, এনামুল হক মোল্লা এক সময় বরমীতে ত্রাসের রাজত্ব চালিয়েছিলেন। তার নামে একাধিক মামলা থাকায় নাম পরিবর্তন করে আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে ২০১৭ সালে সৌদি আরবে চলে যান। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর সৌদি আরব থেকে এনামুল দেশে আসেন। সে সময় হেলিকপ্টারে করে গ্রামের বাড়িতে আসেন। সম্প্রতি তিনি মক্কা মেসফালাহ সৌদি আরব বিএনপির সভাপতি পরিচয়ে শ্রীপুর উপজেলার সব জায়গায় পোস্টার টানিয়ে গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর-সদরের একাংশ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং করে ব্যাপক প্রচারণা চালান। 

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জুনায়েদ জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার দিবাগত রাতে যৌথবাহিনী সাবেক ছাত্রদল নেতা বরকুল গ্রামের এনামুল হক মোল্লার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বরমী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে সহযোগীদের গ্রেফতার করে যৌথবাহিনী। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২টি পিস্তল, ৩টি ম্যাগাজিন, ৪ রাউন্ড গুলি, ৪টি ওয়াকিটকি, ২টি ইলেকট্রিক শর্ট মেশিন, একটি হ্যামার নেল গান, একটি চাকু উদ্ধার করা হয়। আটককৃতদের বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শ্রীপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিএনপি নির্বাহী কমিটির সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও সম্প্রতি বিএনপি ঘোষিত গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর-সদরের একাংশ) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী অধ্যাপক ডা. এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, ‘এনামুল হক মোল্লা চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য ২০০১ সালে বিএনপি থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছিল।’