Image description

বিএনপি ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর বিভিন্ন আসনে বিক্ষোভ করছেন বাদ পড়া নেতাদের অনুসারীরা। বাকি ৬৩ আসনের অন্তত ২০টি আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে যুগপৎ আন্দোলনের মিত্র দলের জন্য। বাকি ৪৩টিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি স্থানীয় পর্যায়ে তীব্র দ্বন্দ্বের কারণে। এর আটটিতে জ্যেষ্ঠ নেতাদের পরিবারের সদস্যরা মনোনয়নপ্রত্যাশী হওয়ায় বিরোধ আরও বেড়েছে।  

এমন পরিস্থিতিতে দ্বন্দ্ব নিরসনের চ্যালেঞ্জে পড়েছে বিএনপি। দলটি জানিয়েছে, বাদ পড়াদের দায়িত্ব ও সম্মান দিয়ে মূল্যায়ন করা হবে। আর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বিক্ষোভ ও ভাঙচুরকারীদের বিরুদ্ধে।

এদিকে সোমবার মাদারীপুর-১ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে কামাল জামান মোল্লার নাম ঘোষিত হলেও এক দিন পর গতকাল মঙ্গলবার তা স্থগিত করা হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কামাল জামান ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিচ্ছেন– এমন ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর সমালোচনার কারণে তাঁকে বাদ দেয় বিএনপি।

অন্যদিকে মনোনয়ন পাওয়া বিএনপি নেতারা উল্লাস করলেও বাদ পড়াদের অনুসারীরা গত সোমবার রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করছেন। ভাঙচুর, সংঘর্ষ, সড়ক-রেলপথ অবরোধের মতো ঘটনা ঘটেছে। 
মাদারীপুরে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর মহাসড়ক ও ময়মনসিংহের গৌরীপুরে রেলপথ অবরোধ করেন মনোনয়নবঞ্চিতদের অনুসারীরা। এতে যান চলাচল বন্ধ থাকে। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সড়ক অবরোধ করে ভাঙচুরের কারণে মনোনয়নবঞ্চিত আসলাম চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত চার নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। 

বিক্ষোভ হয়েছে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল, নাটোরের লালপুরে। মেহেরপুরের গাংনীত দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। মুন্সীগঞ্জের বালিগাঁওয়ে মনোনয়নপ্রাপ্ত মিজানুর রহমান সিনহা এবং মনোনয়নবঞ্চিত আব্দুস সালাম আজাদের অনুসারীদের সংঘর্ষে দুজন আহত হয়েছেন। সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ-আশাশুনিতে আধাবেলা হরতাল হয়েছে। যদিও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হলেও মাত্রা ছাড়ায়নি।

বিএনপির অধিকাংশ মনোনয়নবঞ্চিত নেতা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও নোয়াখালী-১ ও ৫, চট্টগ্রাম-১৬ আসনসহ অন্তত ২০টিতে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি উঠেছে। গত সোমবার প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছিলেন, সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা পরিবর্তনযোগ্য। গতকাল নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘যারা মনোনয়ন পাননি; বিশ্বাস রাখুন, ইনশাআল্লাহ দল আপনাদের যথাযথ দায়িত্ব ও সম্মান দেবে।’ 

বাদ পড়া ‘ত্যাগীদের’ ক্ষোভ 
আওয়ামী লীগ শাসনামলে মামলা, কারাগার ও গুমের শিকার অনেক নেতাই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাদ পড়ে। মনোনয়ন প্রত্যাশা করেও পাননি স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সেলিমা রহমান। চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ এবং আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সহসম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার নাম নেই প্রার্থী তালিকায়। 

মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে মনোনয়ন না পাওয়া আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। কিন্তু নির্বাচনী এলাকার লোকজন নারাজ। তাদের দাবি, মাঠ পর্যায়ে ‍নিরপেক্ষ জরিপের মাধ্যমে মনোনয়ন দেওয়া হোক। 

নোয়াখালী-১ আসনে মনোনয়ন না পাওয়া ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন অর রশিদ মামুন বলেন, তারেক রহমানের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। তবে এলাকার মানুষ বিষয়টি মানতে পারছেন না। আশা করি, নীতিনির্ধারকরা বিষয়টি উপলব্ধি করবেন। 

নেত্রকোনা-৩ আসনে মনোনয়ন না পাওয়া একাধিক নেতা জানান, দলের উচিত আরও মাঠ পর্যায়ে জরিপ করে প্রার্থী চূড়ান্ত করা। তা না হলে দল ও দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। 

চট্টগ্রাম-১২ আসনে মনোনয়ন চেয়ে পাননি একাধিকবার গুমের শিকার ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান আশিক। তিনিসহ মনোনয়ন না পাওয়া অন্য নেতা সমকালকে বলেন, মনোনয়ন পাওয়া এনামুল হক পাপ্পা আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী। নৌকার সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির তাঁর চাচাশ্বশুর। 

দ্বন্দ্ব নিরসনের চ্যালেঞ্জ
সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণার ফলে কিছু আসনে দলীয় কোন্দল আরও প্রকাশ্যে এসেছে। যেসব আসনে একাধিক শক্তিশালী মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন, সেখানে দ্বন্দ্ব মেটানো চ্যালেঞ্জ হতে পারে। যেমন: খুলনা-২, খুলনা-৬, চট্টগ্রাম-১৬ ও ভোলা-৪। 
ভোলা-৪ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন। এ আসনের সাবেক এমপি নাজিমউদ্দিন আলমও মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর নুরুল ইসলাম নয়ন গিয়েছিলেন নাজিম উদ্দিন আলমের বাসায়।  দরজা না খোলায় তিনি ফেরত আসছেন। 

একাধিক প্রার্থীর দ্বন্দ্বে ময়মনসিংহ-৪ ও ময়মনসিংহ-১০ আসনে কারও নাম ঘোষণা করতে পারেনি বিএনপি। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় ময়মনসিংহ-৪ আসনে ২০১৮ সালের প্রার্থী আবু ওয়াহাব আকন্দের নাম ছিল। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা না করে স্থগিত রাখা হয়। দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রোকনুজ্জামান সরকার এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী। দুইজনের বিরোধে প্রার্থী ঘোষণা আটকে রয়েছে।

ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছয়জন। এ কারণে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। এ ছাড়া ঠাকুরগাঁও-২, দিনাজপুর-৫, নীলফামারী-১, নীলফামারী-৩, লালমনিরহাট-২, নওগাঁ-৫, নাটোর-৩, পাবনা-১, ঝিনাইদহ-৪, বাগেরহাট জেলার তিনটি আসন, পটুয়াখালী-২, কিশোরগঞ্জ-১, মানিকগঞ্জ-১, মুন্সীগঞ্জ-১, ঢাকা-২০, গাজীপুর-১, ফরিদপুর-১, মাদারীপুর-২. সুনামগঞ্জ-২, সিলেট-৪, চট্টগ্রাম-৩, চট্টগ্রাম-৬, চট্টগ্রাম-৯সহ ৪৩টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি দ্বন্দ্বের কারণে। 
ঢাকা-১৮ আসনেও প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি। জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধের যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ গতকাল বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। ২৭ বছর বয়সী তরুণকে বিএনপি এ আসনে প্রার্থী করতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।  

জোটের জন্য ফাঁকা
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বগুড়া-২, গণসংহতির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫, জাতীয় জোটের নেতা সৈয়দ এহসানুল হুদা কিশোরগঞ্জ-৫, এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমদের ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুক চট্টগ্রাম-১৪, দলটির মহাসচিব রেদওয়ান আহমেদ কুমিল্লা-৭, জাতীয় পার্টি (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার পিরোজপুর-১, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের স্ত্রী তানিয়া রব লক্ষ্মীপুর-৪, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম লক্ষ্মীপুর-১, বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ ঢাকা-১৭, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ ঢাকা-১৩, গণঅধিকার সভাপতি নুরুল হক নুর পটুয়াখালী-৩, দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান ঝিনাইদহ-২, এনপিপি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ নড়াইল-২, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ইরান ঝালকাঠি-১ আসন থেকে নির্বাচন করতে চান। বিএনপি এসব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম নারায়ণগঞ্জ-৪, যশোর-৫, সুনামগঞ্জ-৪ ও সিলেট-৫ আসন চায়। হেফাজতে ইসলাম এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের একটি অংশের নেতা জুনায়েদ আল হাবিব ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে নির্বাচন করতে চান। এসব আসনেও প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি। গণফোরাম, গণঅধিকারের রাজনীতির পর এখন কোনো দলে না থাকা রেজা কিবরিয়া হবিগঞ্জ-১ আসনে প্রার্থী হতে পারেন। এ আসনেও কারও নাম ঘোষণা করেনি বিএনপি।

এনসিপির সঙ্গে বিএনপির জোটের কথা শোনা যাচ্ছে। তবে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের ঢাকা-১১, সদস্য সচিব আখতার হোসেনের রংপুর-৪, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের পঞ্চগড়-১, হাসনাত আবদুল্লাহর কুমিল্লা-৪ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম লক্ষ্মীপুর-১ ও আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১০ আসনে বিএনপির প্রার্থী হতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে ঢাকা বাদে অন্যান্য আসনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা জোট শরিকদের আসন ছাড়তে রাজি নয় বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছে। 

শীর্ষ নেতার পরিবারের জন্য আটকা কিছু আসন
যে ৪৩ আসনে দ্বন্দ্ব রয়েছে, এর আটটিতে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের পরিবারের সদস্যদের কারণে প্রার্থী চূড়ান্ত করা যাচ্ছে না। এক পরিবারে একজনের বেশি মনোনয়ন পাবেন না– নীতি নিয়েছে বিএনপি। তবে দলটির জ্যেষ্ঠ নেতাদের সন্তান, ভাই, স্ত্রী মনোনয়নপ্রত্যাশী হওয়ায় কিছু আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। ঠাকুরগাঁও-২ আসনে মনোনয়ন চান মির্জা ফখরুলের ভাই। স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর স্ত্রী মনোনয়নপ্রত্যাশী সিরাজগঞ্জ-১ আসনে। টাঙ্গাইল-৫ আসনে মনোনয়ন চান টাঙ্গাইল-২ আসনে মনোনয়ন পাওয়া আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু। 
ঢাকা-৯ আসনে মনোনয়ন চান স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের স্ত্রী। কুমিল্লা-২ আসনে মনোনয়ন চান স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মোশাররফ হোসেনের ছেলে। চট্টগ্রাম-১১ আসনে মনোনয়ন চান স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ছেলে। কক্সবাজার-২ আসনে স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের পরিবারের কেউ নির্বাচন করতে পারেন। এ কারণে এসব আসনে কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি। 

এসব আসনে অন্য নেতারাও সক্রিয় মনোনয়নের দৌড়ে। এতে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে তৃণমূলে। 

তালিকায় থাকাদের উল্লাস
যশোর-৬ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ সমকালকে বলেন, তরুণদের প্রতিনিধি হিসেবে দল আস্থা রাখায় আমি কৃতজ্ঞ। তারেক রহমান ও গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাব। এত বড় একটা দল; কিন্তু প্রার্থিতা নিয়ে উল্লেখ করার মতো অপ্রীতিকর কিছুই ঘটেনি। এতে প্রমাণিত হয়– তারেক রহমানের নেতৃত্বে সবাই ঐক্যবদ্ধ। 

নরসিংদী-৫ আসনের প্রার্থী আশরাফ উদ্দিন বকুল বলেন, দল তাঁর ওপর যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখে মনোনয়ন দিয়েছে, এর প্রতিদান সবাইকে সঙ্গে নিয়েই দিতে চান। 
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ফেনী-১, বগুড়া-৭ ও দিনাজপুর-৩ আসনে প্রার্থী হবেন। তারেক রহমান বগুড়া-৬ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী। এসব এলাকার নেতাকর্মীরা উল্লাস করেছেন। 

চট্টগ্রাম ব্যুরো জানিয়েছে, জেলার ১৬টি আসনের ১০টিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। চট্টগ্রাম-৩, চট্টগ্রাম-৬, চট্টগ্রাম-৯, চট্টগ্রাম-১১, চট্টগ্রাম-১৪ এবং চট্টগ্রাম-১৫ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীর ছড়াছড়ি হলেও প্রার্থী দেওয়া হয়নি এখনও। 
দলটির সূত্র জানিয়েছে, কয়েকটি আসনে দ্বন্দ্বের কারণে প্রার্থী ঘোষণা করা যায়নি। কয়েকটি ফাঁকা রাখা হয়েছে মিত্র দলের জন্য। চট্টগ্রাম-১৪ আসনে কর্নেল অলির ছেলে নির্বাচন করবেন। চট্টগ্রাম-১৫ আসনটিও এলডিপি চায়। এ আসনে বিএনপিতে বিভক্তি থাকলেও নির্বাচন সামনে রেখে সম্প্রতি সব পক্ষ এক হয়েছে। স্থানীয় বিএনপি বলছে, আসনটিতে দল থেকেই প্রার্থী দেওয়া হবে। 

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে বিএনপির মূল মনোনয়নপ্রত্যাশী দুইজন। তারা হলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার এবং পদ স্থগিত থাকা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী। দুজনের দ্বন্দ্বে ৫ আগস্টের পর সেখানে  ১৭টি খুন হয়েছে। 
চট্টগ্রাম-৯ আসনে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানকে মনোনয়ন দেওয়া হলেও পরে স্থগিত করা হয়। এখানে বিএনপির প্রয়াত নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমানের সম্ভাবনা রয়েছে।