Image description
 

বাবা ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান। তবে, পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও তিনি ছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অন্ধ ভক্ত ৷ সেই ভালবাসা থেকেই ছাত্রদলের রাজনীতিতে নাম লেখান। ছাত্রদল করার কারণে বাড়িতে যেতে পারেননি দীর্ঘ ১৬ বছর। এমনকি পরিবারের অনুষ্ঠানেও অংশ নিতেন না। ছাত্রদলের দুঃসময়ে বিরোধী দলের (আওয়ামী লীগের) নানা নির্যাতন উপেক্ষা করেও হাল ধরেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের। বলছিলাম ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণের কথা।

 

শ্রাবণের দলের প্রতি ভালবাসা -ত্যাগ মূল্যায়ন করতে ভুলেননি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) বিএনপি চেয়্যারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান পার্টি অফিসে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর মধ্যে যশোর ৬ আসন (কেশবপুর উপজেলা) থেকে শ্রাবণকে নমিনেশন দিয়েছে দল। 

তার নমিনেশনের খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, এভাবে তরুণদের রাজনীতিতে আসলে দেশের উন্নয়ন ও পরিবর্তন ঘটবে। তারেক রহমানকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা। সূত্র বলছে, আসনটিতে বেশ জনপ্রিয়তা আছে শ্রাবণের। সঠিক সময়ে নির্বাচন হলে আসটিতে বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন তরুণ এই নেতা।

 


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শ্রাবণ ছাত্রদল করায় তার সঙ্গে পরিবারের বন্ধন ছিন্ন করার ঘোষণা দেন বাবা রফিকুল ইসলাম। জানা যায়, কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ ২০০৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনি। সেই থেকে বাড়ির সঙ্গে তার যোগাযোগ কমে আসে। পরিবারের সবাই অনেক চেষ্টা করেও ছাত্রদল ও ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারেননি। এ বিষয়ে এর আগে বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ জানিয়েছেন, কেশবপুর কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময় থেকেই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। 

 

গত ২০ সেপ্টেম্বর নিজ জন্মভূমি যশোরের কেশবপুরে আসেন কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ। দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় পর নিজ উপজেলায় আসার খবরে মোড়ে মোড়ে ফুল নিয়ে অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা। তার এই বহরে কেশবপুর থেকে প্রায় দেড় হাজার মোটরসাইকেল ও শতাধিক মাইক্রোবাসে নেতাকর্মীরা অংশ নেয়। কর্মসূচি থেকে তিনি যশোর-৬ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে ঘোষণা দেন।