Image description
 

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘চুপ্পুর কাছ থেকে যদি জুলাইয়ের সার্টিফিকেট নিতে হয়, এর চাইতে আমাদের সবাইকে বিষ খেয়ে মরে যাওয়া ভালো।

 

‎শনিবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় পটুয়াখালী শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা এনসিপি’র দলীয় কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‎তিনি বলেন, ‘বিপ্লবের সার্টিফিকেট যদি নিতে হয় চুপ্পুর কাছ থেকে, তাহলে সেটা মানে-ছোট হাসিনার কাছ থেকে নেয়া। আসলে ওনারা বড়টার কাছ থেকে নিতে চায়, কিন্তু বলতে পারে না। একজন মুক্তিযোদ্ধাকেও যদি বলেন চুপ্পুর কাছ থেকে সার্টিফিকেট নিতে হবে—তাকে রাজি করাতে পারবেন না।

 

‎তিনি আক্ষেপ করে আরো বলেন, ‘বিএনপি বলে আমরা জামায়াত, আবার জামায়াত বলে আমরা বিএনপি — তার মানে আমরা ঠিক পথেই আছি। একসময় ডানপন্থীরা আমাদের বামপন্থী বলত, আবার বামপন্থীরা বলত আমরা ডানপন্থী। এর মানে আমরা মধ্যপন্থায় আছি। আমরা বিএনপি নই, জামায়াতও নই।

‎হাসনাত আব্দুল্লাহ আরো বলেন, ‘আমরা আমাদের মৌলিক অবস্থান থেকে কখনো সরে যাইনি। জোটে কাকে নেব তা আমরা ঠিক করব—যারা সংস্কার, ইনস্টিটিউশনাল ইনফরমেশন এবং কনস্টিটিউশন রিফর্মেশনের পক্ষে থাকবে, তারাই আমাদের সঙ্গে থাকবে। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও বাংলাদেশের সংস্কারের পক্ষে যারা- আমরা তাদের সঙ্গে নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ব।

 

‎জুলাই সার্টিফিকেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেকে তো জুলাই সনদে সিগনেচার করছেন। আগে আমরা বলেছিলাম, আগে দেখাতে হবে—তারপর আমরা সই করব কি না ঠিক করব। তখন আমাদের বিরোধিতা করা হয়েছিল, এখন তারাই আমাদের পথে আসছে। জরিনার কথা বলে সকিনার সিগনেচার দেয়—এভাবে হবে না।

সভায় জেলা এনসিপির সদস্য সচিব অ্যাড. জহিরুল ইসলাম মুসা’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির বরিশাল বিভাগীয় সম্পাদক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাড. মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডাঃ মাহমুদা আলম মিতু ও যুগ্ম সদস্য সচিব ফয়সাল মাহমুদ শান্ত প্রমুখ।