Image description

পটুয়াখালীর সদর উপজেলায় বাজারের ইজারা সংক্রান্ত বিরোধের জের ও একটি ধর্ষণ মামলায় সাক্ষী হওয়াকে কেন্দ্র করে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা বিএনপি নেতা মফিজুল হক মৃধার (৪০) মৃত্যু হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘ ২০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাতে তার মৃত্যু হয়। মৃত মফিজুল সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তার লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এ সময় স্বজনদের আহাজারিতে এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৮ অক্টোবর রাতে পালপাড়া বাজারের ইজারা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ও একটি ধর্ষণ মামলার সাক্ষী হওয়ায় ওই মামলার আসামি সোহাগ মাঝি ও তার সঙ্গীরা মফিজুলকে দা ও চল দিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে এ ঘটনায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসী হামলায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে পটুয়াখালী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং মফিজুলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

নিহত মফিজুলের স্ত্রী রাবেয়া বেগম বলেন, ‘আমার দুই সন্তানকে নিয়ে এখন কোথায় যাব? আমার স্বামীকে যারা হত্যা করেছে, তাদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।’

মফিজুলের বড় মেয়ে মিম (১০) আক্তার বলেন, ‘আমি বাবা হত্যার বিচার চাই।’

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘ঘটনার পরের দিন তিনজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আগের মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করব।’

শীর্ষনিউজ