আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (কেআইবি) নির্বাচন চায় না বিএনপিপন্থি কৃষিবিদদের সংগঠন এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব)।
সংগঠনটির আহ্বায়ক ড. কামরুজ্জামান কায়সার বলেন, ‘আমাদের (কেআইবি সদস্য) অনেকেই ক্যাডার অফিসার, সরকারি চাকরি, স্বায়ত্তশাতি-বেসরকারি চাকরি করেন। তাদের কম বেশি সবাই নির্বাচনী (জাতীয় নির্বাচন) কাজে ব্যতি ব্যস্ত হয়ে যাবে। কেউ হবেন প্রিসাইডিং অফিসার, কেউ হবেন পোলিং অফিসার। এরা তো সবাই মাঠে ঘাটে চলে যাবে। তফসিল ঘোষণার পর প্রায় সবাই নির্বাচন কমিশনের আওতায় চলে যাবেন। প্রায় ৩৫ হাজার সদস্যের অর্ধেকের বেশি জাতীয় নির্বাচনের কজে যুক্ত হবেন। ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হবে আর আপনি দিলেন জানুয়ারিতে কেআইবি নির্বাচন। এটা কীভাবে সম্ভব?
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন এ্যাব আহ্বায়ক।
এক প্রশ্নের জবাবে কামরুজ্জামান কায়সার বলেন, ‘কেআইবি’র নির্বাচনে যে কমিশন গঠন করা হয়েছে তাতে সবাই একটি ধর্মীয় সংগঠনের। যারা স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না।’
কেআইবি’র নির্বাচন ঠেকাতে গত সোমবার বিকেলে এ্যাব নেতাকর্মীরা কেআইবি’র অফিসসহ বিভিন্ন কক্ষ,দরজা, সিসি ক্যামেরার হারডিক্স খুলে নেয়াসহ প্রশাসককে অশ্লীল গালাগালি দেয়া হয়েছে। এসব অভিযোগ সোমবার রাতেই তেজগাঁও থানায় এ্যাব আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবসহ ৭০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তবে, এ্যাব নেতৃবৃন্দ গতকালের সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। এর কোনো প্রমাণ কেউ দেখাতে পারবে না বলে উল্লেখ করেন।
কেআইবি প্রশাসক আব্দুর রব খানের কর্মকাণ্ডকে অবৈধ উল্লেখ করে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে কেআইবিতে অবিলম্বে একজন নিরপেক্ষ ও জ্যেষ্ঠ কৃষিবিদকে প্রশাসক নিয়োগের দাবি তোলেন।
ড. কামরুজ্জামান কায়সার বলেন, ‘সমাজসেবা অধিদফতর গত ১২ ফেব্রুয়ারি আবদুর রব খানকে ৯০ দিনের জন্য প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছিল, যাতে তিনি নির্বাচন আয়োজন করে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। কিন্তু তিনি দায়িত্ব পালন না করে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। পরে তার মেয়াদ দুই দফায় বাড়িয়ে গত ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত করা হলেও তিনি নির্বাচন আয়োজন না করে কেআইবির তহবিল থেকে কোটি টাকার উন্নয়ন, মেরামত ও নিয়োগ বাণিজ্যে লিপ্ত হন।
শাহাদত হোসেন বিপ্লব আরো বলেন, ‘মেয়াদ তিন দফা বাড়িয়েও তিনি নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ নেননি। বরং গঠনতন্ত্র পরিপন্থি নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন, যার সদস্যরা একটি রাজনৈতিক সংগঠনের অনুসারী। এ কারণে কৃষিবিদ সমাজে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং তারা বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল ও লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে তার অপসারণ দাবি করেন।’
তবে প্রশাসক আব্দুর রব খান তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। সকল প্রক্রিয়া মেনেই কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টায় আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদত হোসেন চঞ্চল, সদস্য (দপফতরের দায়িত্বে) অধ্যাপক জমশেদ আলম এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর (ডিএই), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট (বারি) সহ বিভিন্ন সরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।