Image description
 

দেশের রাজনৈতিক সংকটে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেছেন প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন। সকালে তার নিজ ফেসবুক পোষ্টে তার অবস্থান তুলে ধরে লেখেন, কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি পক্ষপাতী নন এবং জামায়াত ও বিএনপির উভয়ের প্রতি সমান ভালোবাসা ও সমালোচনা রয়েছে।

 

অনেকে বলে আমি শুধু জামায়াত ইসলামের লোকজনের সাথে ছবি তুলি, কথাটা সত্যি না। ১৫ বছরের কঠিন সময়ে কেউ বলতে পারবেন না আমি কখনো জামায়াতকে উপরে তুলেছি বা বিএনপিকে নিচে নামিয়েছি। কঠিন সময়গুলোতে বিএনপি কিংবা জামায়াতের উপর যেখানে নির্যাতন হয়েছে সেখানে নিজে পরিবার ভেবে ব্যথিত বোধ করেছি।

তিনি আরও লেখেন, কঠিন সময়ে কেউ বলতে পারবে না কোনদিন তারেক রহমান কিংবা জিয়া পরিবারের কাউকে নিয়ে কোন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছি। একই সঙ্গে উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে মাঝে মাঝে যারা তাঁকে জামায়াত-সমর্থক ট্যাগ দেয় তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি স্বঘোষিত রাজাকার এর চেয়ে বড় ট্যাগ আর কি দেবেন? আপনি আমাকে যাই বলেন আমি আমার জায়গায় অটুট আছি।

 

অনুসন্ধানী সাংবাদিক তার পোষ্টে আরো তুলে ধরেন, তার অবস্থান কোনো দলের প্রতি বেশি-কম নয়; তিনি চান জামায়াত ও বিএনপি সীমার মধ্যে থেকেই রাজনৈতিক বিরোধিতা করবে। যদি আমার শক্তি থাকত, বলতাম বিএনপি পাঁচ বছর, জামায়াত পাঁচ বছর করে ক্ষমতায় থাকুক। তবে বর্তমান পরিস্থিতি দিন দিন কঠিন হয়ে ওঠায় দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ সংঘর্ষে রূপ নেয়, যা তিনি উদ্বেগজনক মনে করেন।

দেশীয় রাজনৈতিক দলের প্রতি ব্যক্তিগত আক্রোশ নেই বলেও স্পষ্ট করেছেন তিনি। বিএনপির সবাইকে আমি শত্রু মনে করি না; তাঁদের মধ্যে যারা ভারতপ্রীতি দেখায় তাদের সমালোচনা করি, শোধরালে পরে ক্ষমা চেয়ে নেব। তিনি আরও যোগ করেছেন, আমার সমস্যা কোনো রাজনৈতিক দল না বরং ভারতীয় আগ্রাসন।

 

সম্প্রতি জামায়াতের নায়েবে আমীর আব্দুল্লাহ তাহেরের সাথে সাক্ষাতের কথাও উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগগুলো সামনাসামনি জানিয়েছি এবং একই সঙ্গে জামায়াতকে কিছু বিষয়ে সতর্ক করেছি। এছাড়া সন্তোষ শর্মাকে অনুষ্ঠানে আনার বিষয়ে জামায়াতের আমীরকে যে কটাক্ষ করেছি তার জন্য ক্ষমা চেয়েছি এবং ভবিষ্যতে একই ভুল না করার অনুরোধ জানিয়েছি।

তিনি বিএনপি নেতাদের সাথে দেখা না করার কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, বিএনপি নেতারা দেখা করতে চাননি, তাই দেখা করিনি; জামায়াতের নেতারা দেখা করতে চেয়েছেন, তাই করেছি। সংক্ষেপে তিনি পুনরাবৃত্তি করেছেন যে তাঁর রাজনৈতিক প্রত্যাশা হলো সীমার মধ্যে থেকে স্বাস্থ্যকর প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও দেশীয় স্বার্থ রক্ষা