বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এবং বরিশাল বিভাগীয় দলনেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, একজন বলে বছরের শেষেই নির্বাচন, আরেকজন বলে সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট পেয়ে কথাবার্তার পরে তারিখ জানানো হবে। আমরা নির্বাচন নিয়ে ধানাই-ফানাই শোনার জন্য আন্দোলন করিনি। স্বৈরাচার হটানোর আন্দোলনের একটাই লক্ষ্য ছিল জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সভা শেষে নেতাকর্মীরা জিয়াউর রহমানের রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেন।
আব্দুল আউয়াল মিন্টু আরও বলেন, গত ১৭ বছর আন্দোলন করেছি, এখনো করছি। এই আন্দোলন দেশের মানুষের সাংবিধানিক, মৌলিক, ভোটের অধিকার ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত চলবে। এসব অধিকার নিশ্চিতের প্রথম কাজ হচ্ছে নির্বাচন। আমাদের লক্ষ্য ছিল আওয়ামী সরকারের পতনের মধ্যদিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার। সংগ্রামের প্রাথমিক বিজয় পেয়েছি। মূল লক্ষ্য পূরণ করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, স্বৈরাচার হটানোর আন্দোলনে বিএনপির অবদানকে কারও স্বীকৃতি দিতে হবে না। গত ১৭ বছর ধরে বিএনপির নেতাকর্মীরা বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় অনেক ত্যাগ করেছেন। ৬২ লাখ বিএনপি নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা প্রহসনমূলক মামলা হয়েছে। মামলার সংখ্যা ১ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি। এগুলো ইতিহাস থেকে কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। অতএব যদি কেউ মনে করে আমাদের ১৭ বছরের সংগ্রামের পরিবর্তে এক-দেড় মাসের আন্দোলনে একটা সরকারকে ফেলে দিয়েছি, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করেন। আমাদের স্বীকৃতি ভোটের মাধ্যমে দেবে জনগণ।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহিনের সভাপতিত্বে আরও বক্তৃতা দেন- কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান ও মাহাবুবুল হক নান্নু, সদস্য এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু ও আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ।