
ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে আজাদ বলেছেন, ‘তারা আমাকে টার্গেট করেছে, কারণ আমি সমাজসেবামূলক কাজ করি, এলাকায় কাজ করি, এলাকার মানুষের জন্য কাজ করি। এ কারণেই আমার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। আমার জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে তারা এই হামলা চালিয়েছে।’
আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলীর নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কে আজাদ এই মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগ করেন ও দল পুনর্বাসনের জন্য কাজ করছেন—বিএনপি নেতা নায়াব ইউসুফের এমন অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় এ কে আজাদ বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ করি, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসিত করার চেষ্টা করছি—উনি এটা প্রমাণ করুক। আমি আওয়ামী লীগের লোকদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছি, কিংবা আমি সন্ত্রাসীদের নিয়ে ঘুরি—এটা প্রমাণ করতে বলুন।’
এ কে আজাদ আরও বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ করিনি। গত সংসদ নির্বাচনেও আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি। আসলে তাঁরা পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করার জন্য আমার সম্পর্কে এ কথা বলছেন।’
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এ কে আজাদ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও সজাগ ও তৎপর হওয়া উচিত। বর্তমানে কেউ মাঠে নেই। দুটি জোট নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমি স্বতন্ত্রভাবে কাজ করছি। কিন্তু আমার ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আরও তৎপর হবে, আমি সে প্রত্যাশা করি।’
বিএনপির নেতা-কর্মীদের এমন হামলাকে সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় উল্লেখ করে এ কে আজাদ বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করেই ২০২৪ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আমি ফরিদপুর-৩ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলাম। এবারও জনগণকে সঙ্গে নিয়েই সন্ত্রাসীদের মোকাবিলার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।’
গতকাল রোববার বিকেলে পরমানন্দপুরে গণসংযোগকালে যুবদলের কর্মীরা ফরিদপুর-৩ আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী চৌধুরী নায়াব ইউসুফের ছবিসংবলিত লিফলেট বিতরণের একপর্যায়ে এ কে আজাদের গাড়িবহরে হামলা চালান। এ ঘটনায় ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান এ কে আজাদ।
এদিকে আজ সকাল সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত ফরিদপুর সদরের কৈজুরী ইউনিয়নের বিলনালিয়া বাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন এ কে আজাদ। পরে বিলনালিয়া পূর্বপাড়ার আলী মোল্লার বাড়িতে উঠান বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে এ কে আজাদ বলেন, ‘আমার নির্বাচন করার খুব ইচ্ছা নেই। হা-মীম গ্রুপ অনেক বড় প্রতিষ্ঠান। অনেক লোক সেখানে কাজ করেন, তাঁদের পেছনে সময় দিতে হয়। তবে যখন আমি গ্রামে আসি, মানুষের ইচ্ছা ও উৎসাহ দেখে আমার মন পাল্টে যায়।’
এলাকার জলাবদ্ধতার বিষয়ে এ কে আজাদ বলেন, ‘জলাবদ্ধতা দূর করা কোনো ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব নয়। এর জন্য সরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন। আমি যদি নির্বাচন করি ও নির্বাচিত হই, তাহলে আপনাদের সব সমস্যার সমাধানে কাজ করতে পারব।’