জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বৈষম্যহীন, মানবিক, দুর্নীতি ও দু:শাসনমুক্ত বাংলাদেশ কায়েম না পর্যন্ত আমরা থামবো না।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের ঐতিহাসিক টাউন ফুটবল মাঠে জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন ।
জামায়াতে ইসলামী দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে দেশে ইনসাফ ভিত্তিক উন্নয়ন হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন আমীর বলেছেন, কথা দিচ্ছি আপনাদের খেদমতের দায়িত্ব পেলে ন্যায্য দাবিগুলো চাওয়া ছাড়াই বাস্তবায়ন হবে। কথা দিচ্ছি রক্তের বিনিময়ে হলেও দেশে চাঁদাবাজি বন্ধ করবো। জুলুমবাজি থাকবে না। দখলবাজিও থাকবে না। আমাদের সন্তানদের সাথে তাল মিলিয়ে বলতে চাই ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ’।
জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মজলুম দল। সাড়ে ১৫ বছর জামায়াতের নেতাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, হাজার হাজার নেতাকর্মীকে খুন করা হয়েছে। ক্রস ফায়ারের নামেও হত্যা করা হয়েছে। হাট-ঘাট, মসজিদ-মাদরাসা এমনকি মন্দিরেও লুটপাট চালিয়েছে আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা। কিন্তু ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা চাটিবাটি নিয়ে পালিয়ে গেছে। দুর্নীতিবাজ সবাই পালিয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের আমির রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসাইন, যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের টিম সদস্য খন্দকার আলী মোহসিন, ঝিনাইদহ জেলা আমির আবু বকর মুহা. আলী আজম, কুষ্টিয়া জেলা আমির মাওলানা অধ্যাপক আবুল হাশেম, মেহেরপুর জেলা আমির মাওলানা তাজ উদ্দীন খাঁন, নড়াইল জেলা আমির আবু বক্কর সিদ্দিক , চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের সাবেক আমির আনোয়ারুল হক মালিক, জেলা জামায়াতের জয়েন্ট সেক্রেটারি এডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল ও আব্দুল কাদের এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আহবায়ক আসলাম হোসেন অর্ক।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি এ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামানের সঞ্চালনায় কর্মিসভার উদ্বোধন ঘোষণা করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত চুয়াডাঙ্গার শহীদ প্রকৌশলী শাহরিয়ার শুভর বাবা আবু সাঈদ মন্ডল।