Image description

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে যখন আমাদেরকে আবার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজপথে নামতে হয়, এটাই হচ্ছে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম প্রথম ব্যর্থতা।

বুধবার বিকেলে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শনের সময় রাধানগর ইউনিয়নে মালিগাঁও তেঁতুলতলা দুর্গামন্দিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস বলেন, যখন মানুষ আবার রাজপথে নামল তাদের জায়গা থেকে এবং নামার পরে মানুষ রাজপথে দিনের পর দিন আন্দোলন করল এবং যমুনা ঘেরাওয়ের পর্যায় পর্যন্ত গেল। তখন তারা এই রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের যে ধাপ সেই ধাপে গেল। 

এনসিপির এই নেতা বলেন, তিনি যদি এখন বিভিন্ন কারণে আন্তর্জাতিক মহলে মানে বাংলাদেশের মানুষের এত ত্যাগ তিতিক্ষা সবকিছু ভুলে গিয়ে, এত রক্ত বিসর্জন, প্রাণ বিসর্জন ভুলে গিয়ে, নিজের ইমেজ এর চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স করার জন্য সুশীল সাজতে শুরু করেন, এই অভ্যুত্থানের মতো এত বড় ঘটনা ভুলে গিয়ে তিনি যদি এই স্টেটমেন্ট আসলে দিয়ে থাকেন, যে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম আবার সচল করা হতে পারে, তাহলে আমরা শুধু এ কথাই বলি, বাংলাদেশের মানুষ ছাড় দিতে পারে কিন্তু ছেড়ে দেবে না। এত বড় একটা দেশ এত মানুষের আকাঙ্ক্ষা, অভ্যুত্থান, সবকিছু স্যাক্রিফাইস করে। আন্তর্জাতিক মহলে নিজের ইমেজ এর চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স করতে হবে, এ রকম মানুষকে আমরা প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ওই জায়গায় ওই চোখে দেখে ওখানে বসানো হয়নি। 

সারজিস বলেন, খুনি শেখ হাসিনা বাংলাদেশের দেয়ালে দেয়ালে এই লেখাটা লেখা হয়ে গিয়েছে। রক্ত দিয়ে লেখা হয়েছে। যারা এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সুবিধাভোগী, তারা তাদের জায়গা থেকে এটা ভুলে যেতে পারে। যে মা তার পোলার লাশ নিজের হাতে ছুয়েছে ওই মা কিন্তু এটা ভুলতে পারবে না। ওই মা যতদিন না ভুলবে আমরা ততদিন এই অভ্যুত্থানে রাজপথে লড়াই করেছিলাম, আমরা এইটা ভুলবো না ভুলতে দেবও না। আমরা স্পষ্ট করে একটা কথা বলি। এই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের আর কোনো রাজনীতি চলবে না। এই বাংলাদেশে স্পষ্টভাবে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ হয়েছে। আওয়ামী লীগ দল হিসেবে আইনগত প্রক্রিয়ায় নিষিদ্ধ হবে এবং করতে হবে এটা ছাড়া অন্য কোনো অপশন নাই।