
অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘নিউ ইয়র্কে যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো দেখিয়ে দিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার এখনো সঠিক দক্ষতা দেখাতে পারছে না। আওয়ামী দোসররা বিদেশের মাটিতেও অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার যদি কার্যকর ব্যবস্থা নিত, তাহলে এসব সাহস পেত না।’ বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলাস্থ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এরআগে নবগঠিত বরগুনা ও পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দদের জিয়ার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রিজভী।
বর্তমান সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এখন তো হাসিনা নেই, আওয়ামী লীগের পুলিশ নেই, ছাত্রলীগ নেই, হেলমেট বাহিনী নেই-তাহলে অপহরণ দ্বিগুণ হয়েছে কেন? আইনশৃঙ্খলার এই অবনতি জনগণ মেনে নেবে না।’
তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘দেশের সম্পদ লুটপাট করে সরকারদলীয় নেতারা বিদেশে অন্তত ২০ প্রজন্ম নিশ্চিন্তে বসবাস করতে পারবে, এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। টাকা পাচারকারীদের যেন কোনোভাবেই ফিরিয়ে আনা না হয়, সেজন্যই আওয়ামী লীগ সবকিছু করছে।’
রিজভী বলেন, ‘মানুষ খুন করে, ছাত্র খুন করে, শিশু খুন করে যারা ক্ষমতা ধরে রাখতে চেয়েছিল, তাদের রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো আপস নেই। যারা আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করেছে, তারা যেন অন্য খোলসে আবার আত্মপ্রকাশ করতে না পারে, সেটি দেখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গণতন্ত্র ফেরানোর সংগ্রামের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তার উপর চালানো হয়েছে ভয়াবহ নিপীড়ন, কিন্তু তাকে দমাতে পারেনি। তিনি গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীন নেতৃত্ব দিয়ে আজও আমাদের অনুপ্রেরণা।’
দুর্নীতিবিরোধী সংস্থার সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন একটি অথর্ব সংস্থা। কোনো ফ্যাসিস্টের দোসরের শাস্তি দিতে পারেনি। যেসব টাকা আদালত ফেরত আনার নির্দেশ দিয়েছে, সেগুলোরও কোনো হদিস নেই। এই পরিস্থিতি দেশবাসী চায়নি।’
নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। দলকে তৃণমূল থেকে সুসংহত করতে হবে, যেন জনগণ ধানের শীষে ভোট দেয়। আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট দোসরদের যেন আর সুযোগ না দেয়া হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’