
বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনি জোট বা সমঝোতার সম্ভাবনা এখনো রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক। তবে এ ক্ষেত্রে দুটি বিষয়ের নিশ্চয়তা চান তিনি।
সম্প্রতি যুগান্তরকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মামুনুল হক বলেন, বিএনপির সঙ্গে অতীতে আমাদের নির্বাচনি জোট ও সমঝোতা হয়েছে। কাজেই এ ধরনের সম্ভাবনা এখনো রয়েছে। তবে আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিষয় হলো-প্রথমত, জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী নির্বাচন হওয়া এবং দ্বিতীয়ত, উচ্চকক্ষে অন্তত সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির নিশ্চয়তা। এই দুটি ইস্যু আমাদের আগামী নির্বাচনের মেরুকরণ ও জোট নির্ধারণে মুখ্য ভূমিকা রাখবে।
বিএনপি বা অন্য কোনো জোটে যাওয়ার বিষয়টি কিসের ওপর নির্ভর করবে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, শুধু হিসাব-নিকাশ নয়, আদর্শিক বিষয়টিই মুখ্য। ইসলাম এবং দেশের সার্বিক কল্যাণ এ দুটিকে আমরা অগ্রাধিকার দেব। আবারও বলছি, জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন এবং উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতির নিশ্চয়তা এই দুটি দাবি আমাদের আগামী নির্বাচনে অবস্থান নির্ধারণ করবে।
মামুনুল হকের কাছে প্রশ্ন ছিল- জামায়াতের সঙ্গে জোটের আলোচনা আসলেই কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক ধর্মীয় সংগঠনগুলো বিশ্বাস ও আদর্শের জায়গা সামনে নিয়ে আসে। অথচ বিএনপির সঙ্গে জোটের আলোচনায় আদর্শের প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় না কেন?
এর উত্তরে আলোচিত এ ধর্মীয় রাজনীতিবীদ বলেন, বিএনপি যেহেতু কোনো ইসলামি আদর্শভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠন নয়, কাজেই তাদের সঙ্গে জোট করলে আমাদের অনুসারীরা আদর্শিকভাবে বিভ্রান্ত হবেন বলে আমরা মনে করি না। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী একটি সুসংগঠিত ইসলামি রাজনৈতিক দল। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের সঙ্গে তাদের কিছু মতপার্থক্য আছে। তাই জামায়াতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করলে আমাদের জনশক্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে এবং এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। এই জায়গাটাই দুই দলের সঙ্গে জোট আলোচনার মূল পার্থক্য।