Image description

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হতে পারেনি। এ বিষয়ে দলগুলোর সঙ্গে আবারও অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামী বৃহস্পতিবার ৩০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক হবে। এরপর দলগুলোর কাছে চূড়ান্ত সনদ স্বাক্ষরের জন্য দেওয়া হবে। কমিশন সূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতির আদেশে সাংবিধানিক সংস্কারের প্রস্তাবও সরকারের কাছে জমা দেবে তারা। একই সঙ্গে দলগুলোর মতামত ও ভিন্নমত জানাবে।

এদিকে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো রাষ্ট্রপতির আদেশে সাংবিধানিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ আমাদের সময়কে বলেন, সংবিধান পরিবর্তনের ক্ষমতা শুধু সংসদের। রাষ্ট্রপতির বিশেষ কোনো সাংবিধানিক আদেশ বা অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান পরিবর্তনের সুযোগ নেই। আমরাও বৈধ, আইনানুগ ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার বাইরের কিছু সমর্থন করতে পারি না। তিনি বলেন, এ রকম কোনো উদ্যোগ নিলে আদালতে তা টিকবে না। তবে জুলাই সনদের অন্যান্য সংস্কার অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। এ ছাড়া সাংবিধানিক সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য এখন উপযুক্ত কোনো ফোরাম নেই। সেটাতে আমরা একমত হতে পারি, পরবর্তী ফোরাম অর্থাৎ সংসদ এটা দেখবে।

অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, জুলাই স্পিরিটকে গুরুত্ব দিয়ে বিশেষ আদেশে এটা করা যায়। সব দল একমত হলে আইনি চ্যালেঞ্জের প্রশ্ন আসে না। ১৯৯১ সালে সাহাবুদ্দিন সাহেবের ব্যাপারে সব দল যেভাবে এক হয়েছিল, এবারও তা সম্ভব। জনগণের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব বলেন, জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দিয়েই পরবর্তী নির্বাচন হতে হবে। তিনি গণপরিষদ নির্বাচনেরও দাবি জানান। রাষ্ট্রপতির বিশেষ আদেশে সাংবিধানিক সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাব।

গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনস্থ কমিশন কার্যালয়ে বাস্তবায়নের উপায় সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে বৈঠক করেছে ঐকমত্য কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া মতামতও বিশ্লেষণ করা হয়। এতে আলী রীয়াজ, বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি এমদাদুল হক, ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও আইয়ুব মিয়া উপস্থিত ছিলেন। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও বৈঠকে যোগ দেন। জানা গেছে, আগামী বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহে দুই দফায় ৩০ দলের সঙ্গে বৈঠক করেছিল কমিশন।