
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের প্রতিরোধ পর্ষদের জিএস পদপ্রার্থী মেঘমল্লার বসু হাসপাতালের বিছানা থেকেই লাইভে সংযুক্ত হয়ে নিজের শারীরিক অবস্থা ও ডাকসু নিয়ে কথা বলেছেন। আজ শুক্রবার বিকেলে (৫ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজ আইডিতে লাইভে এসে কথা বলেন তিনি।
মেঘমল্লার বসু বলেন, ‘একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি। অ্যাপেন্ডিক্সটা খুব গুরুত্বপূর্ণ না। কিন্তু আমার সার্জারিটা একটু জটিল। পেট কেটে করতে হয়েছে। আামার অনুপস্থিতির কারণে প্যানেলে, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। যেভাবে কাজ করার দরকার ছিল, অসুস্থতার কারণে পারিনি। বন্ধু, শত্রু সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, তারা আমার খোঁজ-খবর নিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘প্রচুর মানুষ আমাদের ওপর ভরসা রেখেছেন। যারা আমাদের মধ্যে প্রগতিশিলতার বার্তা দেখতে পেয়েছেন। যত ভোটই পাই, শেষ পর্যন্ত লড়াই করব। সবার মাঝে যেহেতু পৌঁছাইতে পারেনি, তাই এটা আমার জন্য একটি বেদনার স্মৃতি হয়ে থাকবে। ঢাকা শহরে বড় হয়েছি, কিন্তু হলে থাকতে পারেনি। আমরা যারা জনমানুষের জন্য লড়াই করছি, তাদের জন্য প্রতিকূলতা থাকবেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘৭/৮ তারিখে ফিরব, ৯ তারিখ সারাদিন আপনাদের সঙ্গে থাকব। ডাকসুতে সবাই ভোট দিতে আসলে, প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির ক্ষমতা থাকবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ হাজার শিক্ষার্থী ভোট দিলে প্রতিক্রিয়াশীলরা লাভবান হতে পারবে না।
আপনারা আমাকে যদি যোগ্য মনে করেন, আমাকে ভোট দিয়েন। আপনাদের কাছে পৌঁছাইতে পারিনি বলে, আমাকে ভোট থেকে বঞ্চিত কইরেন না। আমি জিতি বা না জিতি, আমার পাওয়া প্রতিটি ভোট, আমার জন্য ম্যান্টেডেটের মতো কাজ করবে। সেই ভোটের ভিত্তিতে, আমার কথা কতখানি কতটুকুন গুরুত্ব দিয়ে নেওয়া হয়, তা অনেকখানি নির্ভর করবে। এখন পর্যন্ত প্রচন্ডরকম শারীরিক যন্ত্রণায় আছি।জগন্নাথ হলের প্রতি বিশেষ করে কৃতজ্ঞতা। তারা দল মতের উপরে উঠে, তারা কাজ করছে।’
অ্যাপেন্ডিসাইটিসের তীব্র ব্যথা নিয়ে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিন রাতে তার অ্যাপেন্ডিক্স অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচার করা হয়।