
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেছেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপির রাজনীতি জনগণের সাথে এবং তাদের নিয়ে। সুতরাং বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কোনো পর্যায়ের নেতাদের কারণে যেন আমার দেশের জনগণ কষ্ট না পায়। কারণ বিএনপির ক্ষমতার একমাত্র উৎস হচ্ছে এদেশের ১৮ কোটি মানুষ।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রামে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নগরের কাজির দেউড়ি, নুর আহমদ সড়ক হয়ে নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় পর্যন্ত প্রদক্ষিত শেষে জামিয়াতুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে বর্ণাঢ্য র্যালিটি সমাবেশে মিলিত হয়। চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল এই আয়োজন করে।
মীর হেলাল বলেন, ‘১৯৭১ এর স্বাধীনতার ঘোষণা থেকে শুরু করে গত ২০২৪ এর ৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশবিরোধী অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। যে পরিবারটি জনগণের পাশে থেকে এসব দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আসছে সেটি হলো শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবার।’
ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন আরও বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল একটি সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত ইউনিট। হামলা-মামলা, গুম-খুন উপেক্ষা করে আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দল রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে স্বেচ্ছাসেবক দল বিএনপির ভ্যানগার্ডের দায়িত্ব পালন করেছে। আগামীর দিনেও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগণের কাঙ্খিত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে স্বেচ্ছাসেবক দল আরও অগ্রগামী ভূমিকা রাখবে।’
চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক বেলায়েত হোসেন বুলুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ইঞ্জি. জমির উদ্দিন নাহিদের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ আজম উদ্দিন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি এইচ এম রাশেদ খানসহ আরও অনেকে।
এতে বক্তব্য দেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউর রহমান জিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক মঈনুদ্দিন রাশেদ, সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, জহিরুল হক টুটুল, আবু বক্কর রাজু, রাজীব উদ্দিন আকন্দ, মহসিন কবির আপেল, রিফাত হোসেন শাকিল, দিদার হোসেন, জহিরুল ইসলাম টম, হারুনুর রশিদ, গোলাম সরোয়ার, আব্দুল হালিম গুড্ডু, মো. আলমগীর, আব্দুল আহাদ রিপন, কামরুল হাসান, এন মোহাম্মদ রিমন, আরিফুর রহমান চৌধুরী, মো. ইফতেখার উদ্দিন নিবলু, তাজুল ইসলাম নয়ন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল হাই, সৈয়দ মফিজ উদ্দিন সুমন, আকতার হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন, এম এ হানিফ, শাহাদাত হোসেন সোহাগ, মো. জাকির হোসেন, মো. মোখলেছুর রহমান, মো. হাসান, মো. রাসেল খাঁন, ইমরান হোসেন চৌধুরী বাবলু, ইঞ্জিনিয়ার নুরুজ্জামান শিমুল, আব্দুল মান্নান আলমগীর, সাইফুল আলম দিপু, ইকবাল হোসেন রুবেল, রবিউল ইসলাম, শহিদুজ্জামান শহীদ, মো. জাহিদুল ইসলাম (দপ্তরের দায়িত্বে), নোমান সিকদার সোহাগ, রিদওয়ানুল হক রিদু ও আকবর হোসেন মানিক।
এ ছাড়া এস্কান্দার (বন্দর), ইমরান সিদ্দিকী জ্যাকশন, মুরাদ আলম, মো. ইসকান্দর (পাহাড়তলী), জাকির হোসেন মিশু, জাফর হোসেন রনি, কাজী মহিউদ্দিন, মো. মাহী রুবেল, দেলোয়ার হোসেন জনি, মীর কাসেম, মো. ইকবাল হোসেন জিসান, ইমরান হোসেন তালুকদার, মো. জসিম উদ্দিন, মো. মারুফ, মো. পারভেজ, মো. ইব্রাহীম, মো. বাকের, মোহাম্মদ জাবেদ সাফায়াত সোবহান, রাশেদ পাটোয়ারী, মো. রাজীবসহ মহানগর, থানা ও ওয়ার্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।