
ছাত্রদলের কাউন্সিল অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে জয়পুরহাট সরকারি কলেজে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, যা শেষ পর্যন্ত সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে একজন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত সাতজন আহত হন। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে কলেজ প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন ছাত্রদলের নেতা তামিম (২২), আরিফুল ইসলাম (২৫), শাহরিয়ার কবির (২৩), রাফি (২৬), সোয়ায়েব হোসেন (২৪), সোহান কবির (২৮) এবং পুলিশের উপ-পরিদর্শক আরিফুল ইসলাম (৪৫)। আহতরা বর্তমানে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা যায়, কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর চৌধুরী ও আহাদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি পক্ষ সকাল থেকেই কলেজে অবস্থান নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির কাউন্সিল আয়োজনের বিরোধিতা করে স্লোগান দিতে থাকে। এর ফলে নির্ধারিত সময়ে কাউন্সিল শুরু করা সম্ভব হয়নি।
পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে ছাত্রদলের অন্য একটি পক্ষ মিছিল নিয়ে কলেজের ফটকের দিকে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে মুখোমুখি অবস্থান তৈরি হয়। একপর্যায়ে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের একাধিক কর্মী আহত হন, আহত হন দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্যও।
এ বিষয়ে জয়পুরহাট সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল কাদের বলেন, ‘ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন পুলিশ সদস্যসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।’
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।