Image description
 

শহীদ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী বলেছেন, একটি দল পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া লাগাতে চায়। তারা জামায়াতে ইসলামীকে উসকিয়ে নির্বাচন ব্যাহত করার চেষ্টা করছে। আমরা কোনো উসকানির ফাঁদে পা দেব না। তবে আমরা শুধু নির্বাচন চাই না। আগে সংস্কার, জুলাই শহীদের বিচার, যারা মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে আমাদের পিতাদের শহীদ করেছে ওই সব বিচারকদের বিচার হতে হবে, তারপরে নির্বাচন। এর আগে বাংলার জনগণ কোনো নির্বাচন মেনে নেবে না।

 

 

বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) বিকাল ৪টায় তাফহিমুল কুরআন আলিয়া মাদ্রাসা মিলনায়তনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে স্থানীয় দায়িত্বশীলদের মতবিনিময় ও শহীদ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সাবেক জিয়ানগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাসুদ সাঈদী এসব কথা বলেন।

 

জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ জহিরুল হকের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পিরোজপুর জেলা শাখার আমির অধ্যক্ষ তাফাজ্জল হোসাইন ফরিদ।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আমির বলেন, আল্লামা সাঈদীকে চিকিৎসার নামে মেডিকেল টিম হত্যা করেছে।

 

তিনি বলেন, আল্লামার সেদিনের শেষ হাসি আজও পৃথিবীবাসী ভুলতে পারেনি। তার হাসপাতালের সিটে বসে অসহায়ের মতো চেয়ে থাকা দেখে মনে হচ্ছিল যেন তিনি বুঝতে পারছিলেন তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে কিন্তু তিনি ছিলেন অসহায়।

 

সভাপতির বক্তব্যে মাসুদ সাঈদী বলেন, আমরা আমাদের স্বজন হারানোর কারণে বিচলিত হইনি, আমরা ভয়ও পাইনি। আমরা আগামী নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে মিথ্যাবাদীদের জবাব দিতে চাই। আমাদের দেশে একটি প্রচলিত কথা ছিল- মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত। আমরা এসব পুরোনো কথা ভেঙে দিতে চাই— আমাদের বক্তব্য মূল্যায়নের জন্য নয়, সংসদ পর্যন্ত। আমাদের দৌড় সংসদে। আপনারা খেয়াল করেছেন একটি দল পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া লাগাতে চায়। তারা জামায়াতে ইসলামীকে উসকিয়ে নির্বাচন ব্যাহত করার চেষ্টা করছে। আমরা তাদের উসকানের ফাঁদে পা দেব না। তবে আমরা শুধু নির্বাচন চাই না। আগে সংস্কার, জুলাই শহীদের বিচার, যারা মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে আমাদের পিতাদের শহীদ করেছে ওই সব বিচারকদের বিচার হতে হবে, তারপরে নির্বাচন। এর আগে কোনো জনগণ বাংলার জনগণ মেনে নেবে না।

 

সাবেক আমির, সাবেক মন্ত্রী শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর সন্তান ড. ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন আপনারা সৌভাগ্যবান, আপনাদের মাঝে শহীদ আল্লামা সাঈদী শুয়ে আছেন। আপনারা তার প্রতিবেশী তিনি আপনাদের প্রতিবেশী। তার ওপর জুলুম নির্যাতন করা হয়েছে। শুধু তার প্রতি নয় তার পরিবারের সঙ্গেও জুলুম করেছে; কিন্তু তারা কোনো আপস করেননি। আমরা পালিয়ে যাইনি আপনারা পালিয়ে গেলেন কেন।

 

শহীদদের সন্তানের মধ্যে অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল ও মন্ত্রী শহীদ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের সন্তান আলী আহমেদ তাহকীক, লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমির শহীদ ডা. ফয়েজ আহমেদের সন্তান বেলাল আহমেদ, সাবেক কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির শহীদ আবুল কালাম মো. ইউসুফের নাতি তাহসিন আজমাঈন, সবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লার সন্তান হাসান জামিল, সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল শহীদ কামারুজ্জামানের সন্তান সোহায়েব হাসান ইমাম ওয়াফি, দৈনিক সংগ্রামের সাবেক সম্পাদক মজলুম কলম সৈনিক আবুল আসদের সন্তান সোহায়েল আব্দুল্লাহ শাকিল, সাবেক কর্মপরিষদ সদস্য মরহুম সরদার আব্দুস সালামের সন্তান মোস্তফা শওকত ইমরান প্রমুখ।