Image description
 

আয়নাঘর, গুম, খুন, হয়রানি, মিথ্যা ও গায়েবি মামলা এবং সর্বশেষ জুলাই আন্দোলনে হাজারো ছাত্রজনতার মৃত্যুর জন্য স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার বিচার বিভাগের অন্যতম সহযোগী দোসর সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকও সমান দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।

 

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ সফিউর রহমান মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন তিনি।

জয়নুল আবেদীন বলেন, নতুন বাংলাদেশের জনআকাঙ্ক্ষা পূরণে আমরা খায়রুল হকের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি চাই।

তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের লড়াই কোনো ব্যক্তি বা দলের বিরুদ্ধে নয়, আমাদের লড়াই প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও মর্যাদা সমুন্নত রাখার লড়াই। আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের সংগ্রাম চলছে, চলবে।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সই করা লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জয়নুল আবেদীন।

লিখিত বক্তব্যে খায়রুল হকের ক্ষমতার অপব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিচারপতি ও পরে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবেও তার বিরুদ্ধে সরকারি প্লট বরাদ্দে অনিয়ম, ত্রাণ তহবিলের অর্থ গ্রহণ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

গত ১১ আগস্ট জামিন ও মামলা বাতিলের শুনানির বিষয়ে জয়নুল বলেন, আদালতে বিশৃঙ্খলা শুধু আদালত ও বিচারপতিদের অবমাননা নয়, এটি সমগ্র জাতির প্রতি অপমান। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাই। আপনাদের মাধ্যমে আমাদের তিন দফা দাবি পৌঁছে দিতে চাই।

সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার এমন বদরুদ্দোজা বাদল, কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট গাজী তৌহিদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো. শহীদুজ্জামান, বারের সাবেক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান মামুন, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আঞ্জুমান আরা বেগম মুন্নী, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মাকসুদ উল্লাহ ও ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমানসহ সংগঠনের সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের শতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।