Image description

কোথাও সভা হচ্ছে, কোথাও চলছে আবার উঠান বৈঠক, ব্যবসায়ী বা মহল্লাবাসীর সঙ্গে কোথাও চলছে গণসংযোগ। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ঝিনাইদহ জেলার চারটি আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী এবং অন্যান্য দলের ঘোষিত প্রার্থীরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ভোটারদের কাছে ভিড়ছেন। জেলাজুড়ে স্থানে স্থানে ঘোষিত প্রার্থী ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের অনুসারীরা দেয়াললিখন বা অন্যান্যভাবে প্রচারণার যুদ্ধে নেমেছেন। পর্যবেক্ষকমহল বলছে, ভোটযুদ্ধের জন্য এরই মধ্যে ঘোষিত প্রার্থী ও মনোনয়নপ্রত্যাশীদের পক্ষে ঝিনাইদহ শহরে প্রচারণার দৃশ্য বাড়ছেই।

ভোটযুদ্ধে নামতে আগ্রহীদের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, হাটবাজারসহ ব্যস্ত স্থানের দেয়ালে সাঁটানো হচ্ছে ব্যানার-ফেস্টুন।

ভোটযুদ্ধের আগে চলছে প্রচারযুদ্ধজানা গেছে, জেলার চারটি আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী আছেন একাধিক। তবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রতিটি আসনে একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে। গণ অধিকার পরিষদও চারটির মধ্যে একটি আসনে প্রার্থী ঠিক করে ফেলেছে।

অন্যান্য রাজনৈতিক দল তৃণমূল পর্যায়ে অবস্থান শক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জেলায় ভোটের মাঠে তৎপর ব্যক্তিরা বলছেন, এবার তাঁরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তরুণ ও নারী ভোটারদের।

ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) : শৈলকুপা উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে বিএনপির তিনজন মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন। তাঁরা হলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ও অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান এবং কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ওসমান আলী বিশ্বাস।

এখানে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী দলের শৈলকুপা উপজেলা আমির অধ্যাপক এ এস এম মতিউর রহমান।

ঝিনাইদহ-২ (সদর-হরিণাকুণ্ডু) : বলা হয়ে থাকে, ঝিনাইদহ জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন এটি। এই আসন থেকে বিএনপির টিকিটে টানা চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন প্রয়াত মসিউর রহমান। বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত এই আসনে এবার মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ। এই নেতা এখন ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।

এ ছাড়া মনোনয়ন পেতে আগ্রহী জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ বিশ্বাস এবং কেন্দ্রীয় ড্যাব নেতা ডা. ইব্রাহীম রহমান বাবু। তাঁরা প্রতিনিয়িত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। এই আসন থেকে ভোটযুদ্ধে নামতে প্রস্তুতি নিয়েছেন গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান। তিনি এলাকায় গণসংযোগ বাড়িয়েছেন। এই আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী দলের জেলা আমির অধ্যাপক আলী আজম মো. আবু বকর। ভোটের আশায় নির্বাচনী এলাকায় তাঁর তৎপরতাও বেড়েছে।

ঝিনাইদহ-৩ (কোটচাঁদপুর-মহেশপুর) : এই আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেতে চাইছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহসম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, জাসাসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কণ্ঠশিল্পী মনির খান, মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. মেহেদী হাসান রনি। এই আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী সাবেক জেলা নায়েবে আমির অধ্যাপক মতিয়ার রহমান।

ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ ও সদরের চার ইউনিয়ন) : এই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে আছেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুল ইসলাম হামিদ এবং এই আসনেরই বিএনপিদলীয় সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত শহীদুজ্জামান বেল্টুর স্ত্রী মুর্শিদা জামান। এ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী দলের কালীগঞ্জ উপজেলা আমির মাওলানা আবু তালিব।