Image description

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন আবাসিক হল ও অ্যাকাডেমিক এলাকায় ছাত্ররাজনীতি আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ করতে নীতিমালা প্রণয়নের পথে অগ্রসর হচ্ছে। সম্প্রতি হলে হলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (ছাত্রদল) নতুন কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া ‘নো হল পলিটিক্স’ আন্দোলন ও শিক্ষার্থীদের তীব্র প্রতিবাদের পর গত দুই দিন ধরে ধারাবাহিক বৈঠকে বসেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

 

শনিবার প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির দীর্ঘ বৈঠকের পর রবিবার বিকেলে আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩টি সক্রিয় ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে প্রশাসন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে আরও কয়েকটি বৈঠকের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান।

 

তিনি বলেন, “আমরা হল পর্যায়ে রাজনীতি সংস্কার দিয়ে শুরু করতে চাই। ধাপে ধাপে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির পরিবেশ নিয়ে স্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করব। সামনে ডাকসু নির্বাচন থাকায় এটি আরও জরুরি হয়ে উঠেছে।”

 

উপাচার্য শিক্ষার্থীদের ট্রমা ও তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে বলেন, “ডাকসুকে কেন্দ্র করে যেন কোনো মুখোমুখি পরিস্থিতি তৈরি না হয়, আমরা চাই সেটা সবার অংশগ্রহণে যথাযথভাবে হোক।”

বৈঠকে অংশ নিয়ে ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির বলেন, “শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকে ভয় পেয়েছে। তবে ছাত্রদল সিট বাণিজ্য বা আধিপত্যের রাজনীতি করবে না।” সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, “আমরা নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী, গত ১৫ বছরের সহিংস রাজনীতি পুনরাবৃত্তি করব না।”

 

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাবি সভাপতি এস এম ফরহাদ প্রশাসনকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অ্যাকাডেমিক ইমেইলের মাধ্যমে মতামত নেওয়ার প্রস্তাব দেন। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ গোপন ও প্রকাশ্য- দুই ধরনের রাজনীতির বিরোধিতা করে গোপন রাজনীতি বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট জনশক্তিকে প্রকাশ্যে আনার দাবি জানায়।

 

ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেন, “আমরা কোনো সংগঠন নিষিদ্ধের পক্ষে নই। শিবিরকে গোপন রাজনীতি থেকে বেরিয়ে প্রকাশ্যে আসতে হবে এবং মানবতাবিরোধী অপরাধীদের নেতৃত্ব থেকে সরে আসতে হবে।” তবে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ এবং অন্যান্য কয়েকটি বাম সংগঠন হলে রাজনীতি না রাখার পক্ষে মত দেয়।