
অন্যদের বাধা দিলেও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোয় দেদারসে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের। গতকাল এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘শৃঙ্খলা কমিটি কিংবা ব্যাচ প্রতিনিধির নামে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা হলগুলোয় ছায়া প্রশাসন জারি রেখেছেন। কাদেরের অভিযোগ, হলে শৃঙ্খলা কমিটির অধিকাংশই ছাত্রশিবিরের রাজনীতিতে যুক্ত। তারা অনলাইন ভোটাভুটিতে কারচুপি করে এসব প্রতিনিধি নির্বাচন করেছেন।’
আব্দুল কাদের আরো লেখেন, ‘ঢাবি কর্তৃপক্ষের ঘোষণায় কেবল প্রকাশ্য রাজনীতিটা বাধাগ্রস্ত হবে, গুপ্তদের আটকানো যাবে না। দুদিন পর আবারো পরিস্থিতি বেগতিক হবে। তাছাড়া এর আগেও এমন ঘোষণা বহুবার হয়েছে; সমাধান হয়নি। দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য প্রয়োজন শিক্ষার্থী, ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একত্রে বসে আলাপ-আলোচনা করে একটা সমন্বিত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির সুস্পষ্ট রূপরেখা হাজির করা। সব পক্ষ একটা চুক্তিতে আসা ব্যতীত এ অবস্থার কোনো দীর্ঘমেয়াদি সমাধান নেই।’
ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি জুলাই আন্দোলনের সময়কার নয় দফার মধ্যে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ঢুকাতে চেয়েছিলেন বলেও মন্তব্য করেন আব্দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘ফরহাদ সাহেব সপ্তম দফায় ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি ঢুকাতে চেয়েছিলেন। এটা নিয়ে তার সঙ্গে আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তর্ক-বিতর্ক হয়। আমি তখনো তাকে স্পষ্ট করে বলেছি, ছাত্ররাজনীঅন্যদের বাধা দিলেও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরতি বন্ধ করা আসল সমাধান না। আর বন্ধ করলে কার লাভ, সেটাও তাকে ধরিয়ে দিয়েছি।’