Image description
 

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জুলাই অভ্যুত্থানে রাজপথে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী যুবলীগ নেতা জসিম অবশেষে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। ৭ আগস্ট বিকাল ৪টায় বাড়বকুণ্ড এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই উপজেলার কুমিরা আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে। সেদিন তাদের আন্দোলন পন্ড করতে যুবলীগের প্রায় ৪/৫ শতাধিক সন্ত্রাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। ট্রাকভর্তি করে লাঠি ও পাথর নিয়ে যায় যুবলীগ নেতা জসিম ও তার ভাই বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের এক নাম্বার ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ইয়াসিন। যুবলীগ নেতা জসিম সীতাকুণ্ড উপজেলা যুবদলের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনার অন্যতম আসামি।

 

বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপি'র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ আল মামুন আমার দেশকে বলেন, আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতারা গুটিকয়েক বিএনপি নেতার ছত্রছায়ায় এখনও এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। এসব আওয়ামী লীগের নেতা অনলাইনে খুনি হাসিনার পক্ষে দলীয় নেতাকর্মীদের সংগঠিত করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। তারা যেকোনো সময় এলাকায় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে।

 

বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল মনসুর মেম্বার আমার দেশকে বলেন, ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি জিকু ও সাধারণ সম্পাদক মামুন এবং মেম্বার রাশেদ, ৭ নাম্বার ওয়ার্ডে মেম্বার নাজমুল, ৫ নাম্বার ওয়ার্ডের মেম্বার কামরুল ও জিয়া উদ্দিন জনিসহ যুবলীগের নেতা লিটন এরা এলাকায় অনেকটা প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে। বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শওকত আলী জাহাঙ্গীরের সাথে এসব নেতার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। এসব আওয়ামী লীগ নেতারা এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষদের পর্যন্ত মামলা হামলাসহ নানানভাবে নির্যাতন করেছে। অথচ বিএনপির গুটি কয়েক সিনিয়র নেতা তাদের নিজেদের স্বার্থে এসব আওয়ামী লীগ নেতাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

 

সীতাকুণ্ড থানার ওসি মজিবুর রহমান আমার দেশকে বলেন, বাড়বকুণ্ড সাগর উপকূলে যুবদলের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনায় যুবলীগ নেতা জসিম এজাহারভুক্ত আসামি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাড়বকুণ্ড এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।